• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৭ অক্টোবর শপথ নেবেন মমতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১, ০৯:৫২ এএম

৭ অক্টোবর শপথ নেবেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

টান-টান উত্তেজনার মধ্যদিয়ে তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আসন নিশ্চিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোববার (৩ অক্টোবর) ভবানীপুরের উপ-নির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জিতেন মমতা। বড় ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়তে হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে।

এবার শপথ নেওয়ার পালা। ৭ অক্টোবর বেলা ১২টায় এমএলএ হিসেবে বিধানসভায় গিয়ে শপথ নেবেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। একই সঙ্গে শপথ নেবেন সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রের জয়ী দুই প্রার্থীও।

সোমবার (৪ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় স্পিকার বিমান ব্যানার্জি শপথগ্রহণের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে আলোচনা করেন।

সূত্র জানায়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় চেয়েছিলেন রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি করা হোক। কিন্তু সোমবার পরিষদীয় দপ্তর থেকে মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমএলএ হিসেবে বিধানসভায় শপথ নেবেন। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপালকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি আর কোনো বিতর্কের মধ্যে যাচ্ছি না। আমরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি, বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী, রীতিনীতি অনুযায়ী আসুন। কাউকে ছোট করা নয়, আগামী ৭ অক্টোবর দুপুর ১২টার আগে আমরা চাইছি, বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান।

চিঠি পাওয়ার পরে পাল্টা জবাব দিয়েছে রাজভবনও। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, নির্বাচন জয়ের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানানো হোক। তার পরে সে সম্পর্কে রাজ্যপালকে অবগত করানো হলে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তিনি।

ভারতে সাংবিধানিক ভাবে লোকসভার ক্ষেত্রে শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির। রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব রাজ্যপালের। কিন্তু, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাংসদ, বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল দিয়ে থাকেন তার মনোনীত ব্যক্তিকে। তাই লোকসভা বা বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে সাধারণত সংসদ সদস্য-বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার।

স্পিকার নির্বাচন হয়ে গেলে, লোকসভার ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পিকারকে। বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে। এ ক্ষেত্রে স্পিকারদের সেই ক্ষমতা দেন রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল। তবে রাজভবন সূত্রের খবরে জানা গেছে, রাজ্যপালের দেওয়া সেই ক্ষমতা এবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। গত রোববার (৩ অক্টোবর) ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ভবানীপুরে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন মমতা। 

টিআর/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ