প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১, ০৫:৪৬ পিএম
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কে জয়ী হবেন? হাইভোল্টেজ নির্বাচনের পর বড় প্রশ্ন হিসেবে
দেখা দিয়েছে। নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন বলে দাবি
করা হয়েছে। অন্য কেউ নয়, বিজেপি নেতা জয়
বন্দ্যোপাধ্যায় এমন দাবি করেছেন।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি খবর। অবশ্য এই মন্তব্য করে তিনি দলের অস্বস্তি
বাড়িয়েছেন। তার মতে, একুশের নির্বাচনে বিজেপি
যে ভুল করেছিল ভবানীপুরের উপনির্বাচনেও একই ভুল করেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিপুল
ব্যবধানে জয় একপ্রকার নিশ্চিত।
যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, এই উপনির্বাচনে জয়ী হবেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
তিনি বলেন, ‘যারা বাড়িতে বসে টুইট
করছেন, ফেসবুক করছেন, তাদের দিয়ে
নির্বাচন চলে না। যারা মার খান, লড়াই করেন, তারাই আমাদের প্রার্থীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি
গেছেন। ভবানীপুরের মানুষ খুশি এমন লড়াকু প্রার্থী পেয়ে। ঘরে বসে কে কী বলছেন, কিচ্ছু যায় আসে না। জয়–বিজয় অনেক কিছু বলে, তাতে পার্টি চলে না।’
এ দিকে ভবানীপুরে মমতা জিতবেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন
চৌধুরীও। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই দাবি করছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি কোন ভুল আবার করেছে? এই বিষয়ে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি
করেছেন, ‘বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে বাঙালি
প্রার্থী দিয়েই বাংলার মানুষের মন জয় করতে হবে। এখানে অবাঙালি প্রার্থী দেওয়া সঠিক
সিদ্ধান্ত নয়। ভবানীপুর উপনির্বাচনেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একজন অবাঙালিকে
প্রার্থী করা হয়েছে। আর এটাও একই ভুল দলের।’
এই মন্তব্যের পর রাজ্য বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাহলে কি তিনিও
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন? উত্তরে অবশ্য জয়
বলেন, ‘আমি বিজেপিপ্রেমী। তবু ভবিষ্যদ্বাণী করতে
বাধ্য হয়েছি।’ এতে আরও বিড়ম্বনায় পড়েছে বিজেপি। অধীররঞ্জন চৌধুরীও বলেন, ‘মমতা আগেও ভবানীপুরে জিতেছেন। এবারও জিতবেন।’
শামীম/এম. জামান