প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২১, ০৬:২১ পিএম
জার্মানিতে ‘টাইনি বি’ নামে একটি শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলছে। তবে এই প্রদর্শনী কোনো আর্ট গ্যালারিতে নয়, খোলা আকাশের নিচে শিল্পকর্মগুলো স্থাপন করা হয়েছে। যে কেউ চাইলে ভাস্কর্যঘেরা
আবহে রাতযাপনও করতে পারবেন।
৩০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে এসব শিল্পকীর্তি ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের মেৎসলারপার্কে
শোভা পাচ্ছে। এটির উদ্যোক্তা ও কিউরেটর কর্নেলিয়া সালফ্রাংক জানান, টেকসই উপাদান কাজে লাগিয়ে বাসযোগ্য স্থান কীভাবে ভাস্কর্যের সঙ্গে মিশে যাবে, সেই প্রশ্ন মীমাংসার দায়িত্বও ছিল তাদের কাঁধে।
বায়োকেমিস্ট হিসেবে লিসা বলেন,
নবায়নযোগ্য কাঁচামাল
দিয়ে সবকিছু তৈরি করা হয়। মাশরুম বা ছত্রাক দিয়ে মোড়া মূল কাঠামোটি কাঠ দিয়ে
তৈরি। নির্মাণের উপাদান হিসেবে মাশরুমের বৈচিত্র্য আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে।
এখানে সেই সৌন্দর্য চোখে পড়ে। প্রথমত স্পর্শ করলে অভিনব অনুভূতি হয়।
‘প্যানেল অনুযায়ী সারফেসগুলো পরস্পরের থেকে ভিন্ন। পরিবেশবান্ধব এই উপাদানের
বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি পেট্রোলিয়ামভিত্তিক বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপাদানের
বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।
বার্লিনের স্থপতি সভেন ফাইফার এই টিমের অন্যতম সদস্য। তিনি বলেন, আমার কাছে এটা অনেকটা স্বপ্নের মতো। ভবিষ্যতে এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে, যাতে ব্যবহার শেষ হলে উপকরণগুলো আবার যেন প্রকৃতির চক্রে ফিরিয়ে দিতে পারি।
কিউরেটর হিসেবে কর্নেলিয়া নিজে চীনা-ক্যানেডীয় শিল্পী টেরেন্স কো-র ট্রি হাউসে
রাত কাটিয়েছেন। সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে রাত
কাটানোর অভিজ্ঞতার সময় আমি সচেতনভাবে চারপাশের পরিবেশ অনুভব করেছি। বেশি সময় না
হলেও কিছুক্ষণ ঘুম হয়েছে। মাইন নদীর তীরে উৎসবে ব্যস্ত মানুষের কণ্ঠ অসাধারণ
লেগেছে। প্রাণী ও পোকার শব্দ পেয়েছি। উপরেই একটা মৌচাক ছিল। ফলে সব মিলিয়ে খুব
সচেতনভাবে প্রকৃতির নির্যাস নিয়েছি।
দিনব্যাপী বিনামূল্যে এই শিল্পকর্ম দেখানো হয়। সারা দিন পাঁচ ইউরোর বিনিময়ে
তিনটি ভাস্কর্যের ভেতরে প্রবেশ করা যায়। রাত কাটাতে হলে ১৬৬ ইউরো বা তার বেশি
ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
শামীম/ডাকুয়া