প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২১, ০৪:২২ পিএম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা
করলেন। তিনি বলেছেন, ‘আবর্জনামুক্ত শহর গড়াই লক্ষ্য। সাফাইকর্মীরা
এই অভিযানের মহানায়ক। আমাদের সরকার শহরের উন্নয়নে ৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
ভারত প্রতিদিন ১ লাখ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করছে। কিন্তু আমাদের এই কাজকে আরও
এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের প্রতিটি শহরে
বর্জ্য পদার্থকে কাজে লাগানোর জন্য আধুনিকতম ব্যবস্থা নিতে হবে। শহরের উন্নয়নে
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই
আধুনিক প্রযুক্তি দূষণ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়’।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি দেশের
প্রতিটি রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে সচেতন হতে বলেছি। শহরগুলোতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট
প্ল্যান্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে মানুষ পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাবে। এর ফলে
নদীগুলোও দূষণমুক্ত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৪-তে দেশবাসী
ভারতকে খোলা জায়গায় শৌচমুক্ত করার সংকল্প নিয়েছিলেন। ১০ কোটির বেশি শৌচাগার তৈরি
করে দেশবাসী এই সংকল্প পূর্ণ করেছেন। এখন স্বচ্ছ ভারত মিশন-আর্বান ২.০ লক্ষ্য
আবর্জনা-মুক্ত শহর। জঞ্জাল-আবর্জনার স্তূপ থেকে শহরকে পুরোপুরি মুক্ত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিশন অম্রতের
পরবর্তী পর্বে দেশের লক্ষ্য নিকাশি ও সেপ্টিক ম্যানেজমেন্ট বাড়ানো। শহরগুলোকে
ওয়াটার সিকিওর হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য। নদীগুলোতে কোথাও যেন নর্দমার জল না পড়ে
তা নিশ্চিত করতে হবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান ও অম্রুত মিশনে এখনও পর্যন্ত যে লক্ষ্য
পূরণ হয়েছে, তা অবশ্যই দেশবাসীর কাছে
গর্বের বিষয়। এতে মিশনও রয়েছে, মানও রয়েছে, রয়েছে মর্যাদাও।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের
সাফাইকর্মী বন্ধুরা, যারা ঝাড়ু হাতে শহর সাফ
করেন, আবর্জনার দুর্গন্ধ সহ্য করেও নোংরা-আবর্জনা
পরিষ্কার করেন, প্রকৃত অর্থে তারাই এই
অভিযানের মহানায়ক। করোনা অতিমারির সময় তাদের অবদান সবাই খুব কাছ থেকে দেখেছেন।
নির্মল গুজরাত অভিযান যখন গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছিল, তখন তার ফল
দুর্দান্ত হয়েছিল। এতে গুজরাতের নয়া পরিচয় মিলেছিল। রাজ্যে পর্যটনও বেড়েছিল। জনআন্দোলনের এই ধারণা স্বচ্ছ ভারত মিশনের সাফল্যের ভিত্তি।
শামীম/ডাকুয়া