প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২১, ০২:৩৪ পিএম
ছয় মাস আগে মারা যাওয়া এক নারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকার দ্বিতীয় ডোজ
পেয়েছেন! অবিশ্বাস্য হলেও কাগজে-কলমে এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে। করোনা
টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর গত এপ্রিল মাসে ওই নারী মারা যান। তারপরও টিকার দ্বিতীয়
ডোজ পেয়েছেন তিনি। মৃত নারীর ‘টিকা পাওয়ার’ ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়। অস্বস্তিতে
পড়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে,
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল
করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছিলেন ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বাহাদুরগড় এলাকার
সুমিত্রা দেবী নামে এক নারী। গত ৪ মে
মৃত্যু হয় তার। কিন্তু গত ২৭ আগস্ট সুমিত্রার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার মেসেজ
পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যুর পরে কী ভাবে ওই নারী টিকা নিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা রাজ্য সরকার।
মৃত সুমিত্রা দেবীর পরিবারের সদস্যরাই সম্প্রতি বিষয়টি সামনে এনেছেন। এর আগে
মধ্যপ্রদেশেও একই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
জন্মদিনে তার টিকা নেওয়ার বিষয়টি নথিভুক্ত হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির জন্মদিনে রেকর্ড সংখ্যক টিকাদান দেখাতেই
মধ্যপ্রদেশের ওই মৃত ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। বিহারে আবার টিকা নেওয়ার
তিন-চার দিন পরে ঠিক মোদির জন্মদিনেই তা সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়। যেন
টিকাদানের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো যায়।
তবে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মধ্যপ্রদেশ ও বিহারের দুই ঘটনার অভিযোগই
অস্বীকার করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তার দাবি, বিহারের অভিযোগ ঠিক নয়। আর মধ্যপ্রদেশের রাজেশের বক্তব্য ওই ব্যক্তি টিকা নিতে
লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখনই তার মৃত্যু হয়। সম্ভবত কোনো কারণে ভুলবশত
নথিভুক্ত করা হয়েছে ওই ব্যক্তির নাম। এই দু’রাজ্যেও ক্ষমতাসীন বিজেপি বা বিজেপির
জোট। ফলে বিরোধীদের সমালোচনার লক্ষ্য বিজেপিই।
এদিকে ভারতে সংক্রমণের দাপট কমলেও মুম্বাইয়ের কিং অ্যাডওয়ার্ড মেমোরিয়াল
হাসপাতালের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ৩০ জনের মধ্যে ২৮
জনের আবার টিকার দু’টি ডোজই নেওয়া ছিল। সংক্রমিতদের মধ্যে ২৩ জন এমবিবিএসের
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বাকি সাত জন প্রথম বর্ষের।
ইতোমধ্যেই একজনকে সেভেন হিলস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা আইসোলেশনে
রয়েছেন। এছাড়া চলতি সপ্তাহে বেঙ্গালুরুর এক আবাসিক স্কুলে ৬০ জন শিক্ষার্থী করোনায়
সংক্রমিত হন।
শামীম/ডাকুয়া