প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২১, ১০:০০ এএম
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা
নির্বাচনে জিততে পারেননি তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই
মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিততে হবে তাকে। এমন সমীকরণ
সামনে রেখে ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচন করেছেন মমতা। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচন। এখন অপেক্ষা
ফলাফলের। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে রোববার (৩ অক্টোবর) পর্যন্ত।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর বলছে, রাজ্যের তিন আসনে উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে হলেও ভবানীপুরে ভোটার উপস্থিতি হতাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়লেও ভবানীপুরে এর হার ৬০ শতাংশ পেরোবে কিনা সন্দেহ।
এদিন বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা বাদে সব আসনেই নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। ভবানীপুরে ভুয়া ভোটারের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে দলটির নেতা কল্যাণ চৌবের। তবে তৃণমূলের দাবি, ভোটে কোনও কারচুপি হয়নি। মমতা বিপুল ভোটেই জিতবেন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার (সিইও) কার্যালয়ও দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার যেসব অভিযোগ এসেছে, তা মোটেও গুরুতর নয়।
সিইও কার্যালয়ের সূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এদিন নির্বাচন কমিশনে মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ২০টি। তার মধ্যে ভবানীপুর থেকে গেছে ১২টি, শমসেরগঞ্জ থেকে আটটি। জঙ্গিপুর থেকে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।
সিইও কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দিল্লির নির্বাচন অফিসে গুরুতর কোনও অভিযোগের তথ্য পাঠাতে হয়নি, সেটিই স্বস্তির।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলো কড়া নজরদারিতে রেখেছিল সিইও কার্যালয়। ভবানীপুরের সব কেন্দ্রেই ওয়েবকাস্টের (অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার/নজরদারি) ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সেখানে সব বুথে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি মাইক্রো-অবজার্ভারও ছিল।
গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের দিন সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়। এমনকি ভোট-প্রক্রিয়া নিয়েও অভিযোগ তোলে শাসক দল তৃণমূল। এবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কমিশন। প্রথমে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার কথা থাকলেও শেষমুহূর্তে আরও ২০ কোম্পানি আধা-সেনা মোতায়েন করা হয় সেখানে। এত প্রস্তুতির পরে নির্বিঘ্নে নির্বাচন করাতে পেরে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে সিইও কার্যালয়।
জেডআই/এএমকে