• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

উপনির্বাচনে মমতার ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ১০:১১ এএম

উপনির্বাচনে মমতার ভাগ্য নির্ধারণ আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নির্বাচনে জিততেই হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্ধারিত সময়েই ভবানীপুরের শতভাগ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ওই আসনের সকল ভোটকেন্দ্রেই সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মাইক্রো অবজারভার স্থাপন করা হয়েছে।

গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পরে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়। ডাকা হয় উপনির্বাচন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতাকে ভবানীপুর থেকে জেতানোর লক্ষ্যেই শোভনদেব পদত্যাগ করেন। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসন থেকে হারেন মমতা। এরপরও ভারতীয় সংবিধান মেনে তাকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছিল তৃণমূল। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে বিধানসভা নির্বাচনের হারের ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে।

উপনির্বাচনকে ঘিরে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগ করেছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকাজুড়ে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। ২৬টি উপনির্বাচন কেন্দ্রে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীও রয়েছে ভবানীপুরের বুথে বুথে। ভবানীপুরের ভোট নির্বিঘ্নে শেষ করতে তৎপর প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন পুলিশ পর্যবেক্ষক।

এদিন সকাল থেকেই ভবানীপুরের সব বুথে বুথে ঘুরে দেখছেন তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটররা। মিত্র ইনস্টিটিউটে গেছেন রতন মালাকার। চেতলায় নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে তদারকি করছেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে সকাল থেকেই সক্রিয় শাসকদলের নেতারা।

মমতার বিরুদ্ধে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসও আইনজীবী। সব মিলিয়ে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই উপনির্বাচনে। শমসেরগঞ্জে প্রার্থীর সংখ্যা সাত, জঙ্গিপুরে ৯ জন।

জেডআই/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ