প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ০৩:৫৮ পিএম
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ৩০ আগস্ট সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। সেনা প্রত্যাহারের পর এমন কিছু ঘটবে তা তারা
কল্পনাও করতে পারেনি। সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়।
শুধু তাই নয়, অনেকটা ঝড়ের গতিতে তালেবান কাবুল দখল করে নেয়।
এসব বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে শুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শুনানিতে
পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্কের গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এ তথ্য জানায়।
এমনিতেই ৩০ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সরিয়ে আনার
ক্ষেত্রে বাইডেনের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর রিপাবলিকানরা। তাদের দাবি- এ
সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। রিপাবলিকানরা
কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলার আরও তথ্য চান। যে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩
সেনা নিহত হন।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সামনে এবং বুধবার হাউস
আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সামনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি, যিনি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার দেখভাল করেছেন তিনিও
সাক্ষ্য দেবেন।
বিশৃঙ্খল প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় দেড় শতাধিক
মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাও ছিলেন। এ প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটে।
শামীম/ডাকুয়া