প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০৮:৫৬ পিএম
আফগানিস্তানে সাবেক সরকারের পতনের পর দেশটির অবস্থা বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে।
বিদেশি সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আফগানিস্তানে বসবাসকারী নাগরিকেরা অসহায় হয়ে
পড়েছেন। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয়
জিনিসপত্র অনেকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় রাজধানী কাবুলে বাড়ির
দাম ও ভাড়া একেবারেই কমে গেছে বলে দেশটির আবাসন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় ডিলার
আর বিক্রেতাদের বরাত দিয়ে টোলো নিউজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে
জানিয়েছে, সেখানে
জামির বেচাকেনা একদম কমে গেছে। পাশাপাশি জমির দাম অন্তত ৫০ শতাংশ কমে গেছে। এ
ব্যাপারে জমির ব্যবসায়ীরা জানান,
সম্প্রতি তাদের বিক্রি একদমই নেই। কারণ মানুষ আর বাড়ি কিনছে না।
তাদের হয়তো বাড়ি কেনার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কিংবা তারা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা
করছে।
এমনকি
ভাড়াটিয়ারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কোনো কোনো বাড়ি খালিই পড়ে রয়েছে বলে
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
কাবুলে ১৩ বছর
ধরে জমির দালালি করছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। টোলো নিউজকে তিনি জানান, বাড়ির ভাড়াও কমে গেছে। আগে যে বাড়ি ২০
হাজার আফগানিতে ভাড়া দেওয়া হতো,
এখন তা ১০ হাজার আফগানিতে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
কাবুলের একটি
আধুনিক অভিজাত এলাকা শাহরাক-ই-আরিয়া। এই এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাই সাবেক সরকারের
কর্মী। সেখানকার প্রায় অর্ধেকের মতো বাসিন্দা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে অথবা
অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে এলাকা ছেড়ে দিয়েছে।
শাহরাক-ই-আরিয়া
এলাকার একজন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মানসুরি জানান, এলাকার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ চলে গেছে।
অর্ধেকের বেশি অ্যাপার্টমেন্ট খালি পড়ে আছে।
দেশের অর্থনৈতিক
দুরবস্থা নিয়ে কয়েকজন বাসিন্দা উদ্বেগ প্রকাশ করে তালেবান সরকারকে এ ব্যাপারে
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শামীম/এম. জামান