প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১, ০৬:৫৫ পিএম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে
বিজেপি প্রার্থী করেছে একজন আইনজীবীকে। তার
নাম প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা
নির্বাচনে এন্টালি থেকে তিনি প্রার্থী
হয়েছিলেন সেই প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু
হেরে গিয়েছিলেন বিশাল ব্যবধানে। আর ভবানীপুর হলো
মমতার দুর্গ। নির্বাচনে তার জয় সময়ের
ব্যাপার মাত্র।
এখন
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে,
তাহলে বিজেপির এত নেতা-নেত্রী
থাকতে প্রিয়াঙ্কাকে কেন বেছে নেওয়া
হলো? বিজেপির অভ্যন্তরে অনেকে অখুশি হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
এখানে প্রিয়াঙ্কাকেই প্রার্থী করেছে। যদিও তথাগত রায়সহ
দলের একাধিক নেতা ওই আসনে
লড়বেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল।
হিন্দুস্তান
টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, একুশের
নির্বাচনের পর থেকে দেখা
গেছে কয়েকজন বিধায়ক এবং নেতারা তৃণমূল
কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেখানে
প্রিয়াঙ্কা তা করেনি। আবার
বহু বিজেপি নেতারা নির্বাচনে হারের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে
পড়েছেন। সেখানে প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গেছে, ভোট-পরবর্তী সহিংসতা মামলায় আইনজীবী হিসেবে লড়াই করছেন। নানা ইস্যুতে এখনও
তিনি রাজপথে নেমে কাজ করছেন।
দলের বহু মামলা তিনি
লড়ছেন। এটা একটা বড়
ফ্যাক্টর। এসব কর্মকাণ্ডে খুশি
হয়ে বিজেপি নেতৃত্ব তাকে পুরস্কারস্বরূপ এ
আসনে প্রার্থী করেছে। বিশেষ করে জয়-পরাজয়
বিষয় নয় মমতার বিরুদ্ধে
যিনি দাঁড়াচ্ছেন তিনি অন্তত ব্যাপকভাবে
পরিচিতি পাবেন।
হিন্দুস্তান
টাইমস আরও জানায়, বিজেপির
কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন নতুন
প্রজন্মের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার যোগাযোগ রয়েছে। ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের
সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন বিতর্কসভায় বিজেপির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন
তিনি। শুধু তাই নয়,
সেখানে বিজেপির ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন। দলের
মুখপাত্র না হয়েও বিজেপির
হয়ে লাগাতার তিনি ইস্যু-ভিত্তিক
সদর্থক ভূমিকা নিয়ে চলেছেন। এতে
বিরোধী আসনে বসেও বঙ্গ-বিজেপি খানিকটা অক্সিজেন পেয়ে চলেছে।
নামপ্রকাশে
অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা
বলেন, ‘শুক্রবার দিনটি ঠিক হয়েছিল প্রার্থীর
নাম ঘোষণা করা হবে। তার
আগে বেশ কয়েকটি নাম
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে প্রিয়াঙ্কার নাম ছিল। একজন
আইনজীবীর পাশাপাশি তিনি একজন নারী।
মমতার বিরুদ্ধে লড়তে তাই ওই
নারীকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে
তিনিই যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন।’
শামীম/ডাকুয়া