প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ০৯:৫৮ পিএম
বিনা প্রতিরোধে রাজধানী
কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের
৩৪টির মধ্যে ৩৩টি প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ
নিয়েছে তালেবান। একমাত্র পাঞ্জশির দখল নিতে পারেনি
সশস্ত্র সংগঠনটি। ফলে দেশটির উত্তর-পূর্বে হিন্দুকুশ পর্বতমালায় অবস্থিত প্রদেশটির টেলিফোন ও ইন্টারনেট লাইনও
বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান।
পাঞ্জশিরের
একাধিক বাসিন্দার বরাতে আফগানিস্তানের স্থানীয় টোলো নিউজ এই
খবর প্রকাশ করেছে।
স্থানীরা
জানিয়েছেন, দুই দিন আগে
তালেবান পাঞ্জশিরের টেলিফোন লাইন কেটে দিয়েছে।
এ ছাড়া এলাকার ইন্টারনেট
লাইনও বন্ধ করে দেয়া
হয়েছে। এতে তারা যোগাযোগ
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
আফগানিস্তানের
একেবারে শেষ প্রান্তের প্রদেশ
পাঞ্জশির। কাবুলের মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে হিন্দুকুশ পর্বতমালায় এর অবস্থান।
গত
১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলসহ আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টি
দখল করে তালেবান। কিন্তু
পাঞ্জশির উপত্যকায় বসে বিদ্রোহের ঘোষণা
দেন ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ
সালেহ। তার সঙ্গে আছেন
গনি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল বিসমিল্লাহ মোহাম্মদী ও আফগানিস্তানের প্রয়াত
মুজাহিদীন কমান্ডার শাহ আহমদ মাসউদের
ছেলে আহমদ মাসউদ।
তালেবানের
বিরুদ্ধে পাঞ্জশিরের বিদ্রোহীরা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার
ঘোষণা দিয়েছে। তালেবান তাদেরকে আত্মসমর্পণের জন্য সময় বেঁধে
দিয়েছে। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ করবে
না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কয়েকটি খবর প্রকাশিত হলেও
এখনও সমাধান হয়নি।
গুল
হায়দার নামে পাঞ্জশিরের একজন
বাসিন্দা বলেন, ‘পাঞ্জশিরের লোকজন অন্য এলাকায় বসবাসরত
আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।’
মুস্তফা
নামে কাবুলের একজন বাসিন্দা জানান,
তার নিকটাত্মীয় এবং কয়েকজন বন্ধু
পাঞ্জশিরে বসবাস করেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না
তিনি।
পাঞ্জশিরের
বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন, তালেবান
প্রদেশটির রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে।
এ কারণে খাদ্যের দাম ব্যাপক পরিমাণে
বেড়েছে।
জুনাইদ নামে এলাকাটির একজন বাসিন্দা বলেন, ‘তালেবান বলছে পাঞ্জশিরের সমস্যা ৮০ শতাংশ সমাধান হয়ে গেছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন।’ তবে এ বিষয়ে তালেবান কোনো মন্তব্য করেনি।
জেডআই/এম. জামান