প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ১২:৩০ পিএম
নির্ধারিত
সময়ের এক দিন আগেই
মার্কিন সেনারা কাবুল ত্যাগ করেছে। তবে ফেলে রেখে
গেছে প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিককে।
এ ছাড়া দেশ ছাড়তে
ইচ্ছুক হাজার হাজার আফগান নাগরিকও অনিশ্চয়তায় ও আতঙ্কে রয়েছে।
মঙ্গলবার
(৩১ আগস্ট) বার্তা সংস্থা এপি’র এক প্রতিবেদনে
এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, সোমবার মার্কিন সামরিক বাহিনী চূড়ান্তভাবে আফগান ভূখণ্ড ছেড়েছে। তবে প্রায় ২০০
মার্কিন নাগরিক ও অসংখ্য আফগানদের
ফেলে রেখে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
কাবুল ছাড়ার জন্য তাদেরকে এখন
তালেবানের অনুমতির ওপর নির্ভর করতে
হবে বলেও জানিয়েছে এপি।
এদিকে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে রয়ে যাওয়া মার্কিন
নাগরিক ও আফগানদের বের
করে আনতে চেষ্টা চালিয়ে
যাবে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া কাবুল
বিমানবন্দর ফের চালু হলে
বিমানের মাধ্যমে বা স্থলপথে তাদেরকে
বের করে আনতে যুক্তরাষ্ট্র
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজ করবে বলেও
জানিয়েছেন তিনি।
তিনি
আরও জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে আমেরিকার আর কোনো কূটনৈতিক
প্রতিনিধি নেই। ওই অফিস
কাতারের দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরবর্তী স্তরে দোহা থেকেই কাবুলের
সঙ্গে কূটনৈতিক দৌত্য চালানো হবে। এ ছাড়া
যে আফগানদের যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট রয়েছে, তারা চাইলে তাদের
আফগানিস্তান ছাড়তে সহায়তা করা হবে।
ব্লিংকেন
এটিও বলেছেন যে, তালেবানকে বৈধতা
অর্জন করতে হবে। সেই
সঙ্গে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি
রক্ষা করে কি না
সেটাও দেখার বিষয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নাগরিকদের ভ্রমণে স্বাধীনতা দেয়া, নারীদের অধিকার রক্ষা এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে
দমন করছে কি না
; এসব বিষয় বিশ্ববাসীর নজরে থাকবে।
তালেবান
কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের এবং
জোট বাহিনীর বিমানগুলোয় করে সব মিলিয়ে
এক লাখ ২৩ হাজার
বেসামরিক ব্যক্তিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন
সাড়ে সাত হাজারের বেশি
মানুষ কাবুল ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
২০০১
সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন
টাওয়ারে আল-কায়েদার জঙ্গি
হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন
নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করে। মার্কিন
অভিযানে ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত
তালেবান আবারও ক্ষমতায় ফিরেছে গত ১৫ আগস্ট।
তালেবানের
শাসনের ভয়ে হাজার হাজার
আফগান দেশ ছেড়ে পালাতে
মরিয়া হয়ে বিমানবন্দরে ভিড়
করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তানে তাদের
সহযোগীদের সরিয়ে নেয়।
কাবুল
বিমানবন্দর শেষ পর্যন্ত মার্কিন
বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। তারা বিমানবন্দর
থেকে সামরিক-বেসামরিক লোকজন সরিয়ে নেয়। তবে শেষ
মুহূর্তে মার্কিন সামরিক বাহিনী নিজেদের এবং আমেরিকান কূটনীতিকদের
নিরাপদে কাবুলের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দিকে বেশি মনোযোগ
দেয়। অবশেষে এর মাধ্যমে দেশটিতে
আমেরিকার ২০ বছর ধরে
অবস্থানের অবসান হলো।
টিআর/এএমকে