আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে আরোপ করেছে নানা নিষেধাজ্ঞা। সম্প্রতি দেশটিতে ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পাঠদানেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা। রোববার (২৯ আগষ্ট) এমন ঘোষণা দিয়েছেন তালেবানের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের এক সংবাদকর্মী।
জিয়ার খান ইয়াদ নামের সাংবাদিক জানিয়েছেন, তালেবানের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে আর ছেলে ও মেয়েরা একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না। ইসলামি আইন অনুযায়ী তাদের জন্য পৃথক শ্রেণিকক্ষ থাকবে। এমন খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এ ছাড়া বশির আহমাদ নামে আফগানিস্তানের অপর এক সাংবাদিক একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তালেবানের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী আরও কোনো পুরুষ নারীকে শিক্ষার্থী হিসেবে পাঠদান করতে পারবেন না।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পর থেকে ব্যাপকভাবে এই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, আবারও হয়তো আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যেমন তালেবান এর আগেও করেছিল।
দ্রুতগতিতে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আফগানিস্তানের সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান বলেছিল, তারা ইসলামের আইনি ব্যবস্থা শরিয়া আইনের কঠোর বিধি-বিধান অনুযায়ী দেশ শাসন করবেন। সব ক্ষেত্রে তারা ইসলামি আইন চালু করবে।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তির বার্তা দিয়ে তাদের শাসনে নারীরা ‘শরিয়া আইন অনুযায়ী’ স্বাধীনতা পাবেন বলে জানিয়েছিলেন।
ইফাত
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন