প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১, ০৫:৪২ পিএম
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায়
বিপুল সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছে। তবে সেখানে আটকে
থাকা ১৫ বাংলাদেশি অক্ষত
আছেন। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার
পর তারা বিমানবন্দর এলাকা
থেকে যে যার ঘরে
চলে যান। অন্যদিকে, তাদের
সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০
জন আফগান শিক্ষার্থীও নিজ নিজ আবাসে
ফিরে গেছেন।
জাতিসংঘের
শরণার্থী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ বিমানে
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ১৫
বাংলাদেশির দেশে আসার কথা
ছিল। তাদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০
জন আফগান শিক্ষার্থীরও যোগ দেয়ার কথা
ছিল।
গত
২৫ আগস্ট দুপুর থেকে তারা কাবুলের
হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুলে বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের পর
রাতে তারা নিজ নিজ
আবাসস্থলে ফিরে যান। ১৫
বাংলাদেশির একজন রাজীব বিন
ইসলাম সেদিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার
দিকে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বুধবার বেলা দুইটা থেকে
আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম।
আমরা গেটের বাইরে ছিলাম। সন্ধ্যার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা
ঘটে। তবে সবাই সুস্থ
আছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা বাংলাদেশিরা গত
রাতে যে যার আবাসস্থলে
চলে গেছি।’
এদিকে,
আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের
দেশে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল
মোমেন বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে
সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানকার
পরিস্থিতি এখনো ঘোলাটে।’
উল্লেখ্য,
কাবুলের স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যার
দিকে বিমানবন্দরের আবে গেটের অদূরে
প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয়
বিস্ফোরণ ঘটে কিছুটা দূরে
ব্যারন হোটেলের কাছে। হামলায় অন্তত শতাধিক নিহত হয়েছেন। আহত
হয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি।
হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে মার্কিন সেনা ও বেসামরিক
আফগান নারী-শিশু রয়েছে।
শামীম/এএমকে