প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১, ১১:২৯ এএম
কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে এমন
আশঙ্কা আগেই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
এবং বিট্রিশ সরকার। তাদের সেই শঙ্কা সত্যিতে
পরিণত হতে খুব বেশি
সময় লাগেনি।
বৃহস্পতিবার
(২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের
মধ্যে তালেবানের ২৮ সদস্য রয়েছে।
শুক্রবার
(২৭ আগস্ট) তালেবানের এক সদস্য রয়টার্সকে
এ তথ্য জানান। খবর
বিবিসির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবানের ওই সদস্য বলেন, এ ঘটনায় আমরা আমেরিকার চেয়ে বেশি মানুষ হারিয়েছি। ওই হামলায় নিহত বেসামরিক আফগানের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০ জন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে ইসলামিক
স্টেট (আইএস) এ হামলার দায়
স্বীকার করেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো
জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাবুল
বিমানবন্দরে পরপর দুটি বিস্ফোরণ
ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় আবে গেটের
কাছে। যেখানে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী
বিমানবন্দরের দায়িত্বে ছিল। হামলার পর
গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এর কিছুক্ষণ
পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ব্যারন হোটেলের
পাশে। যেখানে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণপ্রত্যাশী আফগানদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছিল।
ওয়াল
স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের হামলার পর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে
আরও হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন
সামরিক বাহিনীর মেরিন কমান্ডার জেনারেল ফ্রাংক ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
জেডআই/এএমকে