প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১, ১০:৫৫ এএম
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহতের
সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া
পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এর
মধ্যে ১৩ জন মার্কিন
সেনা রয়েছেন। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) মার্কিন
সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র এবং বিট্রিশ সরকারের
তরফে আগেই সতর্কবার্তা জারি
করা হয়েছিল যে, কাবুল বিমানবন্দরে
সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে। তাদের
সেই আশঙ্কা সত্যিতে পরিণত হতে খুব বেশি
সময় লাগেনি।
বৃহস্পতিবার
(২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালানো ওই হামলায় নিহত
বেসামরিক আফগানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে
৯০ জনে। এ ছাড়া
নিহত কমপক্ষে আরও ১৩ মার্কিনিসহ
হামলায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
কাবুল
বিমানবন্দরে হওয়া ভয়াবহ ওই
আত্মঘাতী বোমা হামলায় এখন
পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি
মানুষের আহত হওয়ার খবর
পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ১৮ জন মার্কিন
সেনা ও চাকরিজীবী রয়েছেন
বলেও নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদনে
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের হামলার পর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে
আরও হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন
সামরিক বাহিনীর মেরিন কমান্ডার জেনারেল ফ্রাংক ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদমাধ্যমগুলো
জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাবুল
বিমানবন্দরে পরপর দুটি বিস্ফোরণ
ঘটে। প্রথম
বিস্ফোরণটি হয় আবে গেটের
কাছে। যেখানে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী
বিমানবন্দরের দায়িত্বে ছিল। হামলার পর
গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এর কিছুক্ষণ
পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ব্যারন হোটেলের
পাশে। যেখানে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণপ্রত্যাশী আফগানদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছিল।
আফগান
সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি এক টুইটে বলেছেন,
‘বিমানবন্দরের আবে গেটের বাইরে
কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি পয়ঃনিষ্কাশন
খালের পাশে নারী শিশুসহ
অনেক আফগান অপেক্ষা করছিলেন। সেখানেই ভিড়ের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে
এক হামলাকারী নিজেকে উড়িয়ে দেয়। বিস্ফোরণের পর
আরেক হামলাকারী গুলিবর্ষণ শুরু করে।’
এদিকে
বর্বর এই হামলার ঘটনায়
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলার
পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তি
নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছেন
তিনি।
জো
বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমা করব
না। আমরা এই হামলার
কথা ভুলেও যাব না। আমরা
হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করব এবং
জড়িতদেরকে এর মূল্য দিতে
হবে।’
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন যে, কাবুল
দখলের পর তালেবান কারাগারগুলো
উন্মুক্ত করে দেয়ায় হয়তো
সেখান থেকেই হামলাকারীরা বেরিয়ে এসেছে। তিনি এই হামলার
জন্য আইএস গ্রুপকে অভিযুক্ত
করেন। যদিও বাইডেনের আগেই
কাবুলের এই জোড়া হামলার
জন্য দায় স্বীকার করে
নিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
জেডআই/সবুজ/এএমকে