• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করব : বাইডেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১, ০৯:০৪ এএম

হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করব : বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি আত্মঘাতী হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ৭৩ প্রাণ হারিয়েছেন। ভয়াবহ এ হামলায় আরও অন্তত ১৪০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বর্বর এ ঘটনার পর হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

তিনি বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমা করব না। আমরা এই হামলার কথা ভুলেও যাব না। আমরা হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করব এবং জড়িতদেরকে এর মূল্য দিতে হবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন যে, কাবুল দখলের পর তালেবান কারাগারগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ায় হয়তো সেখান থেকেই হামলাকারীরা বেরিয়ে এসেছে। তিনি এই হামলার জন্য আইএস সন্ত্রাসী গ্রুপকে অভিযুক্ত করেন। যদিও বাইডেনের আগেই কাবুলের এই জোড়া হামলার জন্য দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই চুপ করে বসে থাকবে না।’ তার ভাষায়, ‘আমরা এই মিশন বন্ধ করব না। আমরা (কাবুল থেকে) আমাদের এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব।’

১৫ আগস্ট তালেবানদের দখলে নেয়ার পর কাবুল থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ৩১ আগস্ট মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার আগে বহু মানুষ দেশটি ছাড়তে চাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় অ্যাবেই গেটের কাছে।

যেখানে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী বিমানবন্দরের দায়িত্বে ছিল। হামলার পর গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
এর কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ব্যারন হোটেলের পাশে। যেখানে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণপ্রত্যাশী আফগানদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছিল।

আফগান সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি এক টুইটে বলেছেন, বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেটের বাইরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি পয়ঃনিষ্কাশন খালের পাশে নারী শিশুসহ অনেক আফগান অপেক্ষা করছিলেন। সেখানেই ভিড়ের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক হামলাকারী নিজেকে উড়িয়ে দেয়। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং বন্ধু আমাকে বলেছেন, বিস্ফোরণের পর আরেক হামলাকারী গুলিবর্ষণ শুরু করে।

কাবুলে বিবিসির প্রতিনিধি সেকেন্দার কারমানি বলেন, অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওতে কাবুলের বিমানবন্দরে লাশের স্তূপ দেখা গেছে। যে কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের বিস্ফোরণের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিস্ফোরণটি ‘সত্যিই শক্তিশালী’ ছিল।

জেডআই/এএমকে

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ