প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১, ০৬:৩৬ পিএম
তালেবান নেতাদের নির্দেশনা হয়তো ঠিকমতো মাঠপর্যায়ের
কর্মীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
সে কারণে দেশটিতে বিচ্ছিন্ন কিছু অঘটন ঘটে
চলেছে। বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকেরা নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) আফগানিস্তানের
রাজধানী কাবুলে শহরটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন করার
সময় দেশটির প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের প্রতিবেদক
জিয়ার ইয়াদ ও ক্যামেরাম্যান
বেইস মাজিদিকে মারধর করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের যোদ্ধারা।
জিয়ার
ইয়াদ ও তার সঙ্গে
থাকা ক্যামেরাম্যান বেইস মাজিদি যখন
কাবুল শহরের শাহর-ই-নাও
এলাকার হাজী ইয়াকুব স্কয়ারে
বেকার মানুষ ও শ্রমিকদের ভিডিও
ফুটেজ ধারণ করছিলেন, তখন
তালেবান যোদ্ধারা কোনো কারণ ছাড়াই
আচমকা তাদের ওপর হামলে পড়ে
ও তাদেরকে মারধর করে।
গত
১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা রাজধানী শহর কাবুলে ঢোকার
মধ্য দিয়ে গোটা আফগানিস্তানের
নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়।
এরপর থেকে কাবুলে প্রতিনিয়ত
বেকার ও কর্মহীন মানুষের
সংখ্যা বাড়ছে। এতে করে দেখা
দিয়েছে চরম সংকট। এ
নিয়েই রিপোর্ট করছিলেন জিয়ার ইয়াদ ও বেইস
মাজিদি।
জিয়ার
ইয়াদ বলছেন, ‘আমরা যখন ফুটেজ
নিচ্ছিলাম তখন তালেবান যোদ্ধারা
এসে আমাদের পরিচয় না জেনেই চিৎকার
করতে শুরু করে। তারা
আমার মোবাইল ফোন এবং আমার
ক্যামেরাম্যানের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। সাংবাদিক পরিচয়
দিলেও তারা আমাদেরকে থাপ্পড়
মারে এবং বন্দুক দিয়ে
পেটায়।’
অনেক
সাংবাদিক গণমাধ্যমকে সহযোগিতা করার জন্য তালেবান
নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানালেও সশস্ত্র এই গোষ্ঠী রাজধানী
কাবুল ও দেশটির ৩৪টি
প্রদেশের মধ্যে ৩৩টির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে তালেবান
যোদ্ধাদের হাতে দেশটির অনেক
সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন। আফগানিস্তানের পারওয়ান প্রদেশের সাংবাদিক সমিতির সহকারী প্রধান পারভিজ আমিনজাদা উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, ‘গোটা আফগানিস্তান ও
কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে সাংবাদিকদের
সঙ্গে তালেবানের এমন বিবাদ সাংবাদিকদের
জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরেক
আফগান সাংবাদিক হিজবুল্লাহ রোহানি বলেছেন, ‘এসব ঘটনা আফগান
সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের
বিষয় এবং আমরা ইসলামিক
আমিরাত অব আফগানিস্তানকে (তালেবান
সরকার) এই বিষয়গুলো সমাধানের
জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
তালেবানের
পক্ষ থেকে অবশ্য সাংবাদিকদের
আশ্বাস দিয়েছেন সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সাংস্কৃতিক কমিশনের সহকারী প্রধান আহমদুল্লাহ ওয়াসিক। তিনি বলেছেন, ‘জিয়ার
ইয়াদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি
গুরুত্বের সঙ্গে আমরা বিবেচনা করছি
এবং তালেবান কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন কেন এটা ঘটেছে।
শুধু এ ঘটনাটি নয়,
সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘটা যেকোনো ঘটনাই
আমরা এভাবে তদন্ত করে মীমাংসা করব।’
শামীম/এম. জামান