প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১, ০৮:২৭ পিএম
মাত্র ৩৮ বছর বয়সে
না-ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘদেহী ব্যক্তি আইগর ভভকোভিনস্কি। হৃদযন্ত্রের
সমস্যার কারণে মারা যান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আইগরের মা এ খবর
জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ
খবর দিয়েছে।
গিনেস
রেকর্ড অনুযায়ী, ভভকোভিনস্কির উচ্চতা ছিল ৭ ফুট
৮.৩৩ ইঞ্চি। হৃদরোগে
আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা
গেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার পাশে ছিল
তার মা ও ভাই।
শনিবার (২১ আগস্ট) ভভকোভিনস্কির
মা সেভেৎলানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ছেলের মৃত্যু
সংবাদ দেন। মৃত্যুর ঘণ্টাখানেক
আগে ভভকোভিনস্কি তার ভাইয়ের পরিবারের
সঙ্গে সময় কাটান ও
রাতের শেষ খাবার খান।
তার খাবারের মধ্যে ছিল এক টুকরো
কিয়েভ কেক এবং ফান্টা।
১৯৮৯
সালে চিকিৎসার জন্য ইউক্রেন থেকে
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য মিনেসোটার রচেস্টারে আসেন ভভকোভিনস্কি। তিনি
হরমোনের অস্বাভাবিকতা জনিত অতিবৃদ্ধি রোগ
নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের
ভাষায় ‘পিটুইটারি গিগানটিজম’ নামে পরিচিত। এক
টেলিভিশন প্রোগ্রাম ‘দ্য ডাক্তার ওজ
শো’তে ২০১০ সালে
এমনটাই জানানো হয়। দুই দফা
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জীবন রক্ষা পেলেও
তার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থামানো যায়নি বলে তিনি উল্লেখ
করেন।
ওই
সময় গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের ব্যক্তিরা ভভকোভিনস্কির উচ্চতা মাপেন এবং আমেরিকান জীবিত
ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দেন।
ওই সময় তার বয়স
ছিল ২৭ এবং তিনি
আগের রেকর্ডধারী ভার্জিনিয়ার সহকারী পুলিশ অফিসার জর্জ বেলের রেকর্ড
ভেঙে দেন। বেলের চেয়ে
এক ইঞ্চির এক-তৃতীয়াংশ লম্বা
ছিলেন ভভকোভিনস্কি।
২০০৯
সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক রাজনৈতিক সমাবেশে
ভিড়ের মধ্যে তাকে লক্ষ্য করেন।
ইগরের গায়ে থাকা টি-শার্টে লেখা ছিল- ‘বিশ্বের
বড় ওবামা সমর্থক’। ওবামা তাকে
কাছে ডেকে নেন এবং
হাত মেলান।
জেডআই/এম. জামান