প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১, ০২:৩৫ পিএম
তালেবানরা কাবুল দখলের পর থেকে দেশটির
নারীরা আতঙ্কে দিন পার করছেন।
নিজেদের অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে
পড়েছে দেশটির নারীরা। বাইরের আলো-বাতাসে ঘোরার
স্বাধীনতা হরণের পাশাপাশি ঘরের চার দেয়ালে
বন্দি হবার শঙ্কায় রয়েছে
তারা। এরই মধ্যে ভারতের
আনন্দবাজার পত্রিকা তালেবান বিষয়ে ভয়ংকর এক তথ্য প্রকাশ
করেছে।
আফগান
নারী পুলিশে থাকা এক নারীর
বক্তব্যে পত্রিকাটি জানিয়েছে, মৃত্যুতেও আফগান নারীদের মুক্তি নেই। সম্প্রতি প্রাণ
হাতে করে কাবুল থেকে
দিল্লি পৌঁছানোর পর এমনই অভিজ্ঞতার
কথা শোনালেন সে দেশের এক
নারী পুলিশকর্মী।
মুসকান
নামে ওই নারী দিল্লি
পৌঁছানোর পর একটি সংবাদমাধ্যমের
কাছে চোখের সামনে দেখা নিজের সেই
ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। তিনি
বলেন, দেশের সিংহভাগ এলাকা তালেবানদের দখলে চলে আসার
পর বুঝতে পারি এদেশ আর
নিরাপদ নয়। প্রাণে বাঁচতে
হলে আর এদেশে থাকা
যাবে না। তাইতো সুযোগ
পেয়ে দেশ ছেড়ে সরাসরি
দিল্লি চলে আসি।
নারীদের
প্রতি তালেবানরা যে কতটা নৃশংস
হতে পারে, তার বর্ণনা দিতে
গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি
বাড়ি থেকেই অন্তত একজন নারীকে তারা
তুলে নিয়ে যায়। তাদের
ধর্ষণ করে খুন করে
তারা। এখানেই শেষ নয়, মৃত্যুতেও
তাদের মুক্তি নেই। তালেবানদের মধ্যে
নাকি এমন অনেকেই রয়েছে,
যারা আবার মৃতদেহগুলোকেও ধর্ষণ
করে আনন্দ পায়।’
তিনি
আরও বলেন, ‘পরিবারের নারীরা যদি উপার্জন করেন,
তাহলে তাদের লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হয়।
প্রথম হুমকিতে কাজ না হলে
আর দ্বিতীয় হুমকির জন্য অপেক্ষা করে
না তারা। প্রথম হুমকির পরও যদি সেই
নারীকে বাড়ির বাইরে দেখেছে, তো তখনই তাকে
তুলে নিয়ে গিয়ে খুন
করা হয়।’
সম্প্রতি
এমন এক ভিডিও নেটমাধ্যমে
ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা
যায়, বাইরে বেরোনো মধ্যবয়সী এক মহিলাকে মাথায়
গুলি করে খুন করেছেন
এক তালেবান নেতা।
এমনকি
রেহাই পান না পুরুষেরাও।
বিশেষ করে পরিবারের পুরুষেরা
যদি কোনো না কোনো
সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে একই পরিণতি হয়
তাদেরও। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
শামীম/এএমকে