• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

৩০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে আফগানিস্তান

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২১, ০১:১৭ এএম

৩০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সম্প্রতি আফগানিস্তান দখলে নিয়েছে কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠী তালেবান। পালিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিও। এমতবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে চিন্তায় আছেন প্রবাসীরা। আফগানিস্তানে বন্দি হয়ে রয়েছেন আত্মীয় পরিজন। নেই ইন্টারনেট পরিষেবা, করা যাচ্ছে না ফোন কলও। এভাবে চলতে থাকলে দেশটি ৩০ বছর পিছিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে থাকা আফগান প্রবাসীরা। 
বেশ কয়েকটি প্রশ্নই তাদের মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কী অবস্থায় আছেন মা-বাবা-ভাইয়েরা? দেশে ফিরে কি আপনজনদের সঙ্গে দেখা হবে?

ব্যবসায়িক কারণে ভারতের ধূপগুড়িতে বেশ কয়েকটি আফগান পরিবার রয়েছে। পরিবারের এক, দু’জন সদস্য রয়েছেন ভারতে, বাকিরা রয়েছেন আফগানিস্তানে। তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না ভারদে থাকা আফগান প্রবাসীরা। তাই বাড়ছে তাদের উদ্বেগ। 

সারাদিন বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও পারছেন না যোগাযোগ করতে। পাচ্ছেন না আফগানিস্তানে থাকা পরিজনদের ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট কানেকশন। টিভির পর্দার বিভিন্নরকম খবরেই আন্দাজ করে নিচ্ছেন কেমন আছেন আত্মীয়রা।

বংশপরম্পরায় ভারতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি পরিবার। তাঁদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ডও আছে। তাদেরই কয়েকজন ভারতের উত্তরবঙ্গের লিচুতলা এলাকার দৌলত খান, মহম্মদ খান, গোলাপ খান। মনে প্রাণে এখন পুরোটাই ভারতীয় তারা। কিন্তু আজও বহাল রয়েছে শিকড়ের টান। তাই জন্মভূমিকে অশান্ত হতে দেখে আঁতকে ওঠেন তারা। 

তাদেরই একজন বলেছেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কাউকেই পাচ্ছি না। আতঙ্কে কেউ কেউ ফোন করতেও চাইছেন না। আমরা চাই সে দেশে শান্তি ফিরুক। না হলে ৩০ বছর পিছিয়ে যাবে আফগানিস্তান।’ 

তাদের মতো করে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন প্রবাসী আফগান রয়েছেন।

একই অবস্থায় রয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের হিলবন্তি এলাকার আফগান বাসিন্দারাও। পরিবার নিয়ে চিন্তিত তারাও। প্রায় ৫০ বছর আগে আফগানিস্তান থেকে এ এলাকায় এসেছিল এই আফগান পরিবারগুলো। কিন্তু আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে তাদের। এর আগে, যতবার সুযোগ পেয়েছেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন আফগানিস্তানে।  কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে কপালে ভাঁজ পড়েছে বারবার।

পরিবার-পরিজনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তারাও যোগাযোগ করতে পারেননি। তাদেরও ভরসা টিভির খবরে।
তারা বলেছেন, ‘আমাদের প্রার্থনা, পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক ভারত সরকার। গণমাধ্যমের মাধ্যমে ভারত সরকারকে আবেদন জানাই, আমাদের পরিবারের লোকেদের যেন নিরাপদে রাখা হয়।’

ইফাত

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ