প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১, ০৪:৩৬ পিএম
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে গত রোববার থেকে
এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু
হয়েছে। বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত
আফগানিস্তানে ১২ জনের মৃত্যু
মানুষের মনকে খুব বেশি
নাড়া দেয় না। তবে
এ সময়ে কয়েকজনের মৃত্যু
সত্যিকারভাবেই বিশ্ববাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বিমানবন্দরের মারা যাওয়া ১২
জনের মধ্যে কেউ ভিড়ে মারা
পড়েছেন। কেউ বা মারা
গেছেন মার্কিন সেনাদের গুলিতে। পাশাপাশি কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। তাদের মৃত্যু বিশ্ববাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তারা বিমানের ডানায়
ভর করে আফগানিস্তান থেকে
পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যে প্রাণ রক্ষায়
তারা বিমানে চড়েছিলেন, সেই বিমান ওড়ার
পরপরই তারা ছিটকে মাটিতে
পড়ে মারা যান।
তালেবান
কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ভিড়ের মধ্যে পড়ে অথবা গুলিতে
নিহত হন ওই ব্যক্তিরা।’
বৃহস্পতিবার তালেবানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
এক কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
কাবুল বিমানবন্দর গেটে ভিড় করা
লোকজনকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার
আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তালেবান
যোদ্ধারা বিমানবন্দরে কারও ওপর হামলা
করতে চায় না।’
বিমানবন্দরে
এখনও হাজার হাজার মানুষ দেশ ছাড়ার জন্য
অপেক্ষা করছে। কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আশপাশের সড়কে তালেবান যোদ্ধারা
অবস্থান করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা সাধারণ মানুষকে চলাচলে বাধা দিচ্ছে, তাদের
কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে।
আফগানিস্তান
এখন পুরোপুরি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। শিগগিরই সরকার গঠন করতে যাচ্ছে
তারা। এরই মধ্যে বেশির
ভাগ অফিস-আদালত, বিভিন্ন
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বড় ভবনগুলোতে টানানো
হয়েছে তালেবানের সাদা পতাকা। শহরে
রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসেছে
চেক পোস্ট। ক্ষমতায় বসার আগেই নানা
প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে গোষ্ঠীটি দেশটির সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে। তবুও ভয় আর
আতঙ্কে দেশ ছাড়ছে বহু
মানুষ।
শামীম/এম. জামান