প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বন দখলকারীদের প্রতিরোধ করতে কীভাবে কাজ করতে হয় তা আমরা খুব ভালোভাবেই জানি। আগামী তিন মাসের মধ্যে দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হবে। সেজন্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। জেলা প্রশাসকদের বনের সীমানা নির্ধারণের কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেটি শেষ হলেই অভিযানও শুরু হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুরের পিটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত নদী বাঁচাতে যুব সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘বনভূমি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনভূমি দখলদাররা যত প্রভাবশালী বা ক্ষমতাবান হোক না কেন তাদের উচ্ছেদ করা হবে। ৫ আগস্টের পর গাজীপুরে অবৈধভাবে দখল হওয়া ৯০ একর বনভূমির মধ্যে ১৬ একর উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি বনভূমি উদ্ধারেও অভিযান চালানো হবে।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘নদীগুলোকে শিল্প বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত করার অধিকার কোনো শিল্পপতিকে দেশের কোনো আইন দেয়নি। তার ব্যবসায়িক লাভের জন্য বিশ্বের কোথাও তাকে বর্জ্য পরিশোধন না করে বর্জ্য ফেলার লাইসেন্স দেয়নি।’
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান, জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বৃক্ষনিধন ও শিল্পকারখানার দূষণ বন্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে সবদিক পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নবায়নের সময় জনগণের মতামত নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্থানীয় পরিবেশ সমস্যা, বনভূমি দখল ও দূষণ নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা মতামত দেন। উপদেষ্টা এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি পরিবেশ রক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিকদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এর আগে, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন পরিবেশ উপদেষ্টা।