• ঢাকা রবিবার
    ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১

এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০১:১৩ এএম

এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সিলেট ব্যুরো

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, এই ভাইরাস আগেও আমাদের দেশে ছিল, মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। এই ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে এবং সেখানে কিন্তু এতো মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। তবুও আমাদের বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোভিডের মতো এটা হয়নি।

স্বাস্থ উপদেষ্টা বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যিনি মারা গেছেন। তিনি প্রায় একমাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাকে যারা সেবা করেছেন তারাও ভালো আছেন। যদিও তার শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে, তবুও এখনো শতভাগ নিশ্চিত না যে তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন।

শনিবার সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি।

একদিনের সফরে শনিবার সিলেটে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। সকাল আটটায় বিমানবন্দরে নেমেই যান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্নি গ্রামের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে বসে চিকিৎসা সেবা বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে সেখান থেকে যান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ঘুরে দেখেন হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা। দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন চিকিৎসক, রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে।

হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিভিন্ন দলের দ্রুত আগামী নির্বাচন দাবি নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, জনগণ যদি বলে কাল আপনারা চলে যান, আমরা চলে যাবো। কারণ, আমরা জনগণের দেওয়া দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। আমরা দায়িত্ব পালন করতেই এসেছি, যদি জনগণ চায় আমরা থাকবো, না চাইলে চলে যাবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা একটি রোডম্যাপ দিয়েছেন, যেখানে বলা আছে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আর জনগণ যদি মনে করে আরও কিছু সংস্কার করে যেতে হবে, তবে হয়তো আগামী বছরের জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটাই আমাদের সর্বশেষ অবস্থান।  

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বর্তমান চিত্র কিভাবে মূল্যায়ন করেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আমার ৫ মাসের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কোনো স্থানে চাহিদা কী আছে তা আগে নিশ্চিত হতে হয়।  সেটা যদি জানা যায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিভাগে কখনো চাহিদা মূল্যায়ন হয়েছে বলে মনে হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই, নার্স নেই। কোথায় কতজন ক্যান্সার ও শিশু বিশেষজ্ঞ লাগবে এটা আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার। এ বিষয়টিতেই ঘাটতি আছে। ঘাটতি মেটাতে যা দরকার ছিল তা করা হয়নি। ভালো চিকিৎসক তৈরিতে মেডিকেল কলেজগুলো যেভাবে করা দরকার ছিল তা হয়নি। তবুও নানা সীমাবদ্ধতা নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

পরে তিনি দুপরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় আন্দোলনে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন কিংবা যারা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন তাদের ত্যাগকে সবসময় মনে রাখারও আহবান জানান উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ