প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
শীতে দেশের বিভিন্ন জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা হাসপাতালগুলোতে। অনেক জায়গায় শয্যা সংকটে মেঝে ও বারান্দায়ও দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা।
নাটোর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১৫ আসনের বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৫২ জন। শয্যা না পেয়ে অনেকের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের মেঝেতে। সেখানেই চলছে চিকিৎসা সেবা।
রোগীরা বলছেন, ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জ্বর-সর্দি আর কাশি সংক্রান্ত সমস্যা বেড়েছে। হাসপাতালে অনেক ভিড়। বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ হাসপাতালে আসছে। শয্যা না পেয়ে অনেকের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের মেঝেতে।
নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক দিনে রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত বেশি হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।
একই পরিস্থিতি লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালেও। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অরুপ পাল বলেন, গড়ে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮০ জন। বহির্বিভাগেও প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন আট শ রোগী।
নওগাঁ সদর হাসপাতালে শীতে নানা রোগে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬২ জন। ঠাঁই নেই রংপুর মেডিকেলেও। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে শতাধিক রোগী।
রোগীরা জানান, তীব্র শীতে বয়স্ক আর শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তাদের নিয়েই স্বজনেরা হাসপাতালে আসছেন বেশি। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসকেরা ঠিকভাবে সেবা দিতে পারছেন না। এদিকে পর্যাপ্ত শয্যারও ঘাটতি পড়েছে হাসপাতালগুলোতে।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে দিনে গড়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন দেড় শ রোগী।