• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তামাক কোম্পানি বছরে যে পরিমাণ রাজস্ব দেয় তার থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয় তামাকজনিত রোগে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম

তামাক কোম্পানি বছরে যে পরিমাণ রাজস্ব দেয় তার থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয় তামাকজনিত রোগে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক কোম্পানি বছরে যে পরিমাণ রাজস্ব দেয় তার থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয় তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে। তাই দেশের মানুষের সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)’ এখনই সংশোধন করা প্রয়োজন। আইনটির সংশোধন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ট্যোবাকো কন্ট্রোল এফসিটিসি’র আলোকে করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও তামাক কর বৃদ্ধি: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। 

সেমিনারে বলা হয়, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত কারণে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে প্রাণ হারায়। এমন বাস্তবতাকে এড়িয়ে তামাক কোম্পানিগুলো শুধু মুনাফা অর্জনের জন্য আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। 

বিএইচআরএফ-এর সভাপতি রাশেদ রাব্বীর সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।

তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। অথচ, তামাক কোম্পানি এবং তাদের পরিচালিত বিভিন্ন সংগঠন আইন সংশোধনের বিরোধিতা করছে। তাদের দাবি, আইন সংশোধন হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ হওয়ার পর পরবর্তী ২০০৫-০৬ এবং ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ৩৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। একইভাবে, ২০১৩ সালের সংশোধনীর পর পরবর্তী ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ৪৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। তাই তামাকজনিত এই অকাল মৃত্যু প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী এখনই অধ্যাদেশ আকারে জারি করার দাবি করেন তিনি।
 

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ