• ঢাকা শনিবার
    ০৫ অক্টোবর, ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১
সেমিনারে বক্তারা

উন্নয়নশীল দেশে ৫ বছরের নিচের ২৫ কোটি শিশুর সম্পূর্ণ বিকাশের সম্ভাবনা অর্জনে ব্যর্থ হয়

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ১২:০৬ এএম

উন্নয়নশীল দেশে ৫ বছরের নিচের ২৫ কোটি শিশুর সম্পূর্ণ বিকাশের সম্ভাবনা অর্জনে ব্যর্থ হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে ৫ বছরের নিচের প্রায় ২৫ কোটি শিশুর সম্পূর্ণ বিকাশের সম্ভাবনা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এর মূল কারণ পরিবারের দারিদ্র্য, শিশুর পুষ্টিহীনতা এবং প্যারেন্টিং দক্ষতা অভাব। ফলে শিশুদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি, প্রাথমিক শৈশব উদ্দীপনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রচার করা জরুরি। 

বৃহস্পতিবার মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি’র সাসাকাওয়া মিলনায়তনে ‘শিশুদের বিকাশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারে সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের সম্পূর্ণ বিকাশের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির উদ্দেশ্যে কয়েক দশকের গবেষণা উপস্থাপন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

সেমিনারে জানানো হয়, একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু বিকাশের ভিত্তি গঠিত এবং এটি শিশুর ৩ বছর বয়স পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এটি প্রাথমিক শৈশব বিকাশের জন্য সুবর্ণ সুযোগ হিসাবে পরিচিত। এই সময়কালে শিশুর শেখার অভিজ্ঞতা, তার বুদ্ধিমত্তা, আচরণ এবং ব্যক্তিত্বের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। ফলে শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য তাদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ভালোবাসা, খেলা এবং বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত একটি পরিবেশ নিশ্চিত জরুরি। শিশুর বিকাশকে উন্নত করতে, পরিবারের সবাইকে, বিশেষত বাবাদের, সক্রিয় ভূমিকা পালন জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে শিশুর প্রয়োজনগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়া, ভাষা দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কথোপকথনে যুক্ত হওয়া এবং খেলার মাধ্যমে শেখার জন্য বয়স উপযোগী খেলনা প্রদান করা।

সেমিনারে শিশুদের নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআর,বি’র এমসিএইচডি বিভাগের এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. জেনা দেরাখশানি হামাদানি। তিনি গবেষণা অনুযায়ী খেলাধুলাভিত্তিক শিশু লালন-পালন কর্মসূচি, শিশুদের জ্ঞানগত, ভাষাগত, শারীরিক এবং আচরণগত বিকাশকে উন্নত করে এমন বিষয় তুলে ধরেন।

আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ প্রাথমিক শৈশব বিকাশ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের অংশীদারত্ব এবং জনস্বাস্থ্যে আইসিডিডিআর,বি’র অবদান তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন প্রাথমিক শৈশব বিকাশের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ জানিয়ে বলেন, ‘শিশুরাই এ দেশের ভবিষ্যৎ। শৈশব থেকেই যদি আমরা তাদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে পারি, নিঃসন্দেহে তারা ভবিষ্যতে দেশের কাণ্ডারি হবে।’

আইসিডিডিআর,বি’র প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে সমাপনী বত্তৃদ্ধতা করেন আইসিডিডিআর,বি’র এমসিএইচডি বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ড. শামস এল আরেফিন। সেমিনারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন লাইন ডিরেক্টর, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং শিশু বিকাশ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ