প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩, ১২:৫৮ এএম
চলতি বছর ঢাকায় বেসরকারির চেয়ে সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর কারণ হিসেবে দেরিতে শনাক্ত ও ভর্তি, সংকটাপন্ন হলে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। মৃত্যুহার কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরও সমন্বয় জরুরি উল্লেখ করে জটিল রোগীর সেবায় বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিগত ২৩ বছরের ইতিহাস ভাঙার পর, ছুটছে নতুন রেকর্ড গড়ার পেছনে; যা আতঙ্কিত করে তুলেছে চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষকে।
সেপ্টেম্বরে এসেও সারাদেশে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার। কখনো কখনো ছাড়িয়ে যাচ্ছে তিন হাজার। হাসপাতালে ভর্তির ৩ দিনের মধ্যেই মারা গেছেন তিন-চতুর্থাংশ রোগী। সবমিলিয়ে এক প্রকার টালমাটাল অবস্থা দেশের চিকিৎসা খাতে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে দ্বিগুণ মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে সংকটাপন্ন রোগী ভর্তি না নেয়া কিংবা রোগীর অবস্থা জটিল হলে সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া ছাড়াও দেরিতে চিকিৎসার আওতায় আসাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, এই মৃত্যুগুলোকে জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে নেয়া উচিৎ। এই মৃত্যুগুলো যাতে কিছুতেই না হয় সেজন্য সব ধরণের পন্থা অবলম্বন করা উচিৎ। এছাড়া এসব মৃত্যুর পেছনে দায় কার, কেন এই সব মৃত্যু ঘটছে সেটাও নির্ধারণ করা দরকার।
চলতি বছরের ডেঙ্গুর ধরণ ও লক্ষণ অন্য বছরের থেকে ব্যতিক্রম, বিষয়টি মাথায় রেখে জটিল রোগীর সেবায় হাসপাতালগুলোকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে বিকল্প নেই মশক নিধনের।
অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, প্রাকৃতিকভাবে এর সমাপ্তি না ঘটা পর্যন্ত আমি এর শেষ দেখছি না। সুতরাং আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কোথাও পানি জমে আছে কিনা, থাকলে সেটা ফেলে দিতে হবে। আমাদের যেন মশায় কামড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর বাইরে আমাদের কারও যদি ডেঙ্গু সন্দেহ হয় তাহলে খুব দ্রুত যে হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা হয় সেখানে যেন আমরা চলে যাই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খণ্ডিত হিসেবে চলতি বছর এখন পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার। মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় সাতশ।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/