প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৩, ০৬:১০ পিএম
আজ শনিবার (৮ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে রাজধানীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শনিবার বেলা ১১টা থেকে এ কর্মবিরতি পালন করবেন চিকিৎসকরা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাইভেট পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ন্যায্য দাবির বিষয়ে বারবার কর্তৃপক্ষ সমর্থন দিয়ে থাকলেও তাদের আশ্বাস বরাবরের মতোই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রাইভেট ট্রেইনিদের ব্যাপারে যে মন্তব্য করেছেন সেটা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মন্ত্রী সাহেব আমাদের কাজের পরিধি এবং আমাদের মানবেতর জীবন সম্পর্কে মোটেও অবগত নন। মিথ্যা আশ্বাস এবং সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু আমরা পাইনি। তাই আগামী ৮ জুলাই ২০২৩ (শনিবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন। তিনি জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে ২০ হাজার টাকায় একজন চিকিৎসকের চলা খুবই কষ্টকর। তাই আমরা বাধ্য হয়েই কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
এদিকে বুধবার (৫ জুলাই) হাসপাতালের ১৫০০ আনাবাসিক চিকিৎসককে বকেয়া বেতন-ভাতা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তাদের গত ৯ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ভাতা বৃদ্ধির জন্য যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তা ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব, ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনির উদ্দিন।
এর আগে গত ২৫ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনাবাসিক চিকিৎসকদের ভাতা দিতে স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। চিঠিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে সংবাদ পড়ে জানতে পারি যে, শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাবাসিক চিকিৎসকদের ৯ মাসের ভাতা বকেয়া রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে ভাতার সব টাকা দেওয়া হয়েছে, অথচ বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেছে তাদের কাছে কোনো তহবিল নেই। ফলশ্রুতিতে অনাবাসিক চিকিৎসকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। যা সম্পূর্ণ মানবতা বিরোধী কার্যকলাপ। অবস্থা বিবেচনা করে অনাবাসিক চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধিসহ সব বকেয়া ভাতা পরিশোধের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু আবেদনে সাড়া না পাওয়ায় ২৬ জুন হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আইনজীবী মনির উদ্দিন।
বিএস/