• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

অ্যান্টিবায়োটিকের ভয়াবহতা

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩, ০৬:১১ পিএম

অ্যান্টিবায়োটিকের ভয়াবহতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজের রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. রিদওয়ানুর রহমান।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর দ্য রেডিসন ব্লুর গ্র্যান্ড বলরুমে ২২তম ইন্টারন্যাশনাল কনগ্রেস অ্যান্ড সায়েন্টিফিক সেমিনারের দ্বিতীয় দিনের ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অ্যান্ড ফুড প্রডাকশন’ সেশনে এ পরামর্শ দেন তিনি।

ডা. মো. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের ফার্মেসিগুলোতে ৫০ টাকা নিয়ে গেলেই দোকানদার ২ থেকে ৩টি অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করেন। তবে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নির্দিষ্ট সংখ্যা ও টাইম পিরিয়ড আছে। এটা মানতে হবে৷ তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে।’

রোগীরা জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক নিতে চায় উল্লেখ করে এই গবেষক বলেন, ‘এখন রোগীরা সামান্য জ্বর হলেই চিকিৎসককে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে বলেন। আবার অনেক সময় জ্বর কমে গেলে ২ থেকে ৩টি ওষুধ খেয়েই বন্ধ করে দেন। এটি ঠিক নয়। অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স সম্পন্ন করতে হয়।’

কোভিডের সময় খেয়াল-খুশি মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটার কোনো প্রয়োজন ছিল না।’ এর প্রভাব দেশে থেকে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ডা. মো. রিদওয়ানুর রহমান।

অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৩০ বছরে মাত্র ২টি অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হয়েছে। আর আস্তে আস্তে কার্যকারিতা হারিয়েছে ৫০টির মতো। এটা বিশ্বজুড়ে একটা সমস্যা তৈরি করতে পারে।’

এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনে ব্যবহার বন্ধ করার কথা জানান অধ্যাপক রিদওয়ানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বেই অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হচ্ছে। যেখানে প্রয়োজন আছে সেখানেও দেয়া হচ্ছে, আবার যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানেও দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি আরও বেশি পরিমাণে ঘটছে। এটি বন্ধে চিকিৎসক, রোগী ও বিক্রেতাকে সচেতন হতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল পাটোয়ারী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ডিএমসি) সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র বনিকসহ দেশি-বিদেশি শতাধিক চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসারা।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সেমিনার চলবে ১৯ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে সেমিনার।

 

 

এএল/

আর্কাইভ