• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিটফোর্ডের ওষুধ মার্কেটে টানা ১৫ ঘণ্টা অভিযান

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০১:০১ এএম

মিটফোর্ডের ওষুধ মার্কেটে টানা ১৫ ঘণ্টা অভিযান

মিটফোর্ড এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযানে জব্দ ওষুধ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নকল, ভেজাল এবং সরকারি ওষুধ রাখায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিকে ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে; জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ওষুধ। 
টানা ১৫ ঘণ্টা অভিযানের পর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
পাইকারি ওষুধের দোকানগুলোতে বুধবার দুপুর ১২টায় এই অভিযান শুরু হয়, চলে ভোররাত পর্যন্ত। অভিযানে সহযোগিতা করে র‍্যাব-১০। অভিযান চলে হাজীরানী মেডিসিন মার্কেট, নায়না মেডিসিন মার্কেট, মা মেডিসিন মার্কেট, খান মেডিসিন মার্কেট ও ঢাকা মেডিসিন মার্কেটের ১৩টি ওষুধের দোকান এবং গুদামে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, মদিনা ফার্মেসির গুদামে নকল ইনসুলিন থাকায় ১০ লাখ টাকা, জনসেবা মেডিকেল এজেন্সির গুদাম ও দোকানে ভারতীয় অননুমোদিত, অবৈধ ও সরকারি ওষুধ থাকায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।


এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে মেসার্স পাল কেমিক্যাল ড্রাগস, মেসার্স তামান্না ড্রাগ, মেসার্স হাজীগঞ্জ মেডিসিন কর্ণার, মেসার্স চৌধুরী ফার্মেসি, মেসার্স কাফ মেডিকেল, মেসার্স জগত জননী ড্রাগস, মেসার্স রাফী মেডিসিন ও মেসার্স গল্প বীথি ড্রাগস, মেসার্স ইকবাল সার্জিক্যাল ফার্মেসিকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
খান মেডিসিন মার্কেটের ষষ্ঠ তলার দুটি গুদামে সরকারি ওষুধ ও অবৈধভাবে আমদানি করা ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা উপস্থিত না থাকায় গুদাম দুটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজাহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সিটি নিউজকে বলেন, ওষুধের ওই মার্কেটগুলোয় নকল ও অননুমোদিত ওষুধ রয়েছে এমন খবরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে ছিল। এজন্য অভিযান চালানো হয়েছে।
“অননুমোদিত ওষুধ ছিল সেখানে। ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে অনেক ইনসুলিন পাওয়া গেছে। এগুলো কোথা থেকে এনেছে, তার কোনো কাগজপত্র ছিল না। এগুলো যে তাপমাত্রায় রাখার কথা, তা হয়নি। বস্তায় বস্তায় রাখা ছিল। ডিজিডিএ বলেছে এগুলো এভাবে ফেলে রাখলে কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যায়। এই ইনসুলিন কোনো কাজে আসে না, উল্টো শরীরের ক্ষতি করে।”
অভিযানে র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. সাইফুর রহমান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামছু উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মো. মুহিদ ইসলাম এবং এ টি এম গোলাম কিবরিয়া খানসহ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং র‌্যাবের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

 

আরিয়ানএস/

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ