• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ক্যান্সার মুক্ত থাকতে চিনি ছাড়ুন!

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম

ক্যান্সার মুক্ত থাকতে চিনি ছাড়ুন!

ছবি: সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক

চিনি ও চিনিযুক্ত পানীয় ক্যান্সারের কারণ। এমনটি মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ফরাসী বিজ্ঞানী ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তারা বলছে- চিনি ও চিনিযুক্ত পানীয় খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই।  এছাড়া চিনি খাওয়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক ব্যাধি যেমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের সম্ভবনা থাকে। 
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মনে করছেন, রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া-ই ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। যেসব পানীয়তে ৫% এর বেশি চিনি আছে গবেষকরা সেগুলোকে চিনিযুক্ত পানীয় বলে বিবেচনা করেছেন। এসবের মধ্যে আছে  চিনি মেশানো ফলের রস, সফট ড্রিঙ্ক, মিষ্টি মিল্কশেক, এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং চিনি দেওয়া চা ও কফি।
চিনি খাওয়ার ফলাফল নিয়ে দীর্ঘ গবেষণায় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা রকম বিষক্রিয়া। এছাড়াও সব ধরনের বিপাকজনিত রোগ, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের আধিক্য, ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস, মেদস্থূলতা ও বার্ধক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গে চিনির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছেন তারা। এসব কারণেই বিশ্বজুড়ে এখন চিনির আরেক নাম ‘হোয়াইট পয়জন’।


গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে যদি ১০০ মিলি লিটার চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া হয়, যা সপ্তাহে দুই ক্যান পানীয়র সমান, তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ১৮% বেড়ে যায়। এরকম প্রতি ১,০০০ জনে ২২ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা যায় যে চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার সাথে ক্যান্সারের একটি সম্পর্ক আছে। 
বিশেষজ্ঞদের মতে, তামাক এবং এলকোহলের মতোই চিনিও আসক্তি সৃষ্টি করে। চিনি যত খাওয়া হয়, তত এটি মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করে আরো খাওয়ার জন্যে। চিনি খাওয়ার ফলে গ্রেলিন, লেপটিন, ডোপামিন ইত্যাদি হরমোনের স্বাভাবিক প্রবাহ-ছন্দ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়, যা মস্তিষ্কে ক্ষুধার অনুভূতি বাড়িয়ে দেয় এবং আমরা অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে ও বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

চিনির ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা দিন দিন বাড়ছে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যেমন ফাস্টফুড, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোমল পানীয় ও বোতলজাত জুসের ব্যাপারে শিশু-কিশোরদের নিরুৎসাহিত করে তুলতে উন্নত বিশ্বের অনেক স্কুল-কলেজ তাদের ক্যাফেটেরিয়ার ভেন্ডিং মেশিন থেকে এসব খাদ্যপণ্য সরিয়ে নিয়েছে। 
তাই চিনির এ ভয়াবহতা বিষয়ে আমাদেরও যথাযথ সচেতনতা জরুরি।

 

সাজেদ/

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ