প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৩:৪৫ এএম
সাধারণত শিশুরা মুখোরোচক না হলে খাবার খেতে চায় না। যার ফলে শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায় এবং শিশুর দৈহিক গঠনে বাঁধা দেয়। প্রতিটি শিশুর আদর্শ ওজন থাকা জরুরি। অতিরিক্ত ওজন যেমন ভালো নয়, স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনও ঠিক নয়। ওজন কম থাকলে শিশুদের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শরীরে ছোট থেকেই বাসা বাঁধে নানা রোগব্যাধি। তাই কোন খাবার খেলে ওজনও বাড়বে আর পুষ্টিও মিলবে সে দিকে নজর রাখতে হবে। ওজন বাড়াতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের শিশুদের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার এবং সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যা শিশুদের পুষ্টিতে সাহায্য করে। ঠিকমতো পুষ্টি পেলে শিশু সময়ের সঙ্গে বেড়েও ওঠে তাড়াতাড়ি।
দেখে নিন শিশুর বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবারগুলো-
ডিম : ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, বায়োটিন, রিবোফ্লাভিন ও আয়রন। প্রতিদিন সকালের খাবারে একটি করে ডিম দিন। প্রতিদিন ডিম সেদ্ধর অমলেটও দেওয়া যেতে পারে।
গাজর : গাজর থেকে প্রচুর ভিটামিন পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিটাক্যারোটিন। যা হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনার ছোট্ট সোনামণিকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ওকে প্রতিদিন একটি করে কাঁচা গাজর খাওয়ান। গাজরের জুস বা সালাতও খাওয়াতে পারেন।
দুধ : শিশুদের খাদ্যতালিকায় যে যে খাবার থাকা জরুরি, তার মধ্যে অন্যতম হল দুধ। দুধে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এই দুটি উপাদান হাড় মজবুত করতে এবং শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। দুধের মধ্যে কখনও কখনও বাদাম, হলুদ বা জাফরান মিশিয়ে দিতে পারেন।
সয়াবিন : সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। হাড় মজবুত করতে শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও সয়াবিন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সয়াবিন দিয়ে মুখরোচক খাবারও খাওয়াতে পারেন শিশুকে।
দই : দইয়ে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং প্রোবায়োটিকস যা শরীরের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শিশু যদি দই খেতে না চায়, তাহলে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ পনিরের তৈরি খাবারও খাওয়াতে পারেন।