• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দেশের সব জেলা নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকিতে: আইইডিসিআর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০২:৪৫ এএম

দেশের সব জেলা নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকিতে: আইইডিসিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইইডিসিআর জানিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, আমরা নিপা ভাইরাসের সতকর্তার ওপর জোর দিয়েছি। তাই কোথাও কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেটার খবর আমরা সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ১০ জন শনাক্ত হয়েছে, এর মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন

তিনি বলেন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কেউ যদি বেঁচেও থাকে তাহলে তাদের নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আমরা যদি শুধু খেজুরের রস খাওয়াটা বন্ধ করে দিতে পারি তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না।

সতর্কতা অবলম্বন করে রস খাওয়া যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলে থাকেন আমরা সাবধানতা অবলম্বন করে রস সংগ্রহ করছি। এটা আসলে ভুল। আপনি যতই জাল দিয়ে ঢেকে রাখেন, এতে আক্রান্তের সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ শুধু রসে বাদুড় মুখ দিলেই নিপা ভাইরাস হয় না, বাদুড়ের ইউরিন (প্রসাব) থেকেও নিপা ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে। 

এদিকে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের কোনো চিকিৎসা নেই। নিপা একটি মারাত্মক ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিপাহ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন নাই, কোনো ওষুধ নাই এবং কোনো চিকিৎসা নাই। কাজেই আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, বাদুর খেজুর রস খায়, বিভিন্ন কাঁচা-পাকা ফলের ওপর বসে থাকে। মানুষ সেসব খেজুর রস ও ফল খেয়ে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।


তিনি জানান, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালে ২০ বেড এবং বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৫ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। নিপাহ ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ