• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কি টক খেতে নেই? জেনে নিন..

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম

হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কি টক খেতে নেই? জেনে নিন..

সংগৃহীত

সিটি নিউজ ডেস্ক

অনেক মানুষই মানুষ হোমিওপ্যাথিতে বিশ্বাসী। তাই পাড়ায় পাড়ায় রয়েছে হোমিও চেম্বার। কম পয়সায় রোগ সারে সেখানে। তবে হোমিওপ্যাথি নিয়ে মানুষের মনে নানা ধারণা রয়েছে। সেই সকল ধারণার কোনটা সত্যি-মিথ্যে, আজ খোলসা করা হবে।

সারা পৃথিবীর পাশাপাশি একটা সময় বাংলাদেশেও হোমিওপ্যাথি বিপ্লব এসেছে। বহু চিকিৎসক এই চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে নিয়মিত চর্চা করেন। কত লোক সুস্থ হচ্ছেন। আর সবটাই হচ্ছে কম পয়সায়। কারণ হোমিওপ্যাথি ওষুধের দাম কিছুটা হলেও কম।
আর শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিখ্যাত চিকিৎসক হানিম্যানের সৃষ্ট এই চিকিৎসাবিজ্ঞানের উপর ভরসা রেখেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই বুঝতেই পারছেন, বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে এই বিজ্ঞানের হাত। প্রচুর মানুষ রোজ এই চিকিৎসার সাহায্য নিচ্ছেন।
তবে হোমিওপ্যাথি নিয়ে কিছু ভ্রান্ত মতামত জনমানসে প্রচলিত রয়েছে বলেই জানালেন কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির প্রাক্তন অধিকর্তা ডা: গৌতম আশ। আসুন তাঁর থেকে গোটা বিষয়টি জানা যাক।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে টক খাওয়া যায় না?
ডা: আশ বলেন, এটা হল প্রথম ভ্রান্ত ধারণা। আসলে টক খাওয়া বা লেবুর সঙ্গে হোমিওপ্যাথির কোনও সম্পর্ক নেই। নিশ্চিতভাবে খেতে পারেন। কোনও সমস্যাই হবে না। এটা বহু সময় ধরে চলে আসা একটি ভুল ধারণা। এর থেকে সকলকে বের হতে হবে। টক খাওয়ার সঙ্গে ওষুধের কার্যকারিতার কোনও সম্পর্ক নেই। তাই অহেতুক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে লাভ নেই। বরং আপনি যেই সত্যটা জানলেন, তা সকলকে বলুন। তবেই জ্ঞান বাড়বে।

বারণ কিছু রয়েছে
ডা: আশ বলেন, কিছু বারণ অবশ্যই রয়েছে। আসলে কিছু খাবারে এমন উপাদান থাকে যা ওষুধের কার্যক্ষমতা কমাতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলি, থুজা ওষুধটি খেলে দুধ খাওয়া যায় না। কারণ দুধ ওষুধের কার্যক্ষমতা কমায়। এই ধরনের কিছু ওষুধ রয়েছে। তবে এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকই আপনাকে বলে দেবেন কী খাবেন, আর কী নয়। নিজের থেকে বা বাড়ির কারও কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না। এতে আপনারই ক্ষতি।

খাওয়ার আগে না পরে ওষুধ?

ডা: আশের কথায়, হোমিও ওষুধ খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। মানুষকে সেই সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। সাধারণত বলা হয় খালি পেটে ওষুধ খাওয়ার কথা। তবে সকালবেলা ছাড়া তো সেভাবে খালিপেট খাকে না। তাই ওষুধ খাওয়ার ২০ মিনিট আগে কিছু না খেতে বলা হয়। আর ওষুধ খাওয়ার ২০ মিনিট পরও কিছু মুখে তোলা যাবে না। এভাবে ৪০ মিনিট মুখ বন্ধ করে রাখতে পারলেই ওষুধ কাজ করবে দ্রুত বেগে।

বড়ি না জল ওষুধ ভালো?
হোমিও ওষুধ দেওয়ার একটা ভেহিকেল প্রয়োজন। অর্থাৎ যাঁর মাধ্যমে শরীরে ওষুধটা পৌঁছে দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বড়ির মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে, আবার জল দিয়েও খাওয়া হয়। এছাড়া এখন ট্যাবলেটও বেরিয়েছে। তবে কোন ওষুধ কী ভাবে বেশি কাজ করবে, তা একজন চিকিৎসক ঠিক করবেন। এই নিয়ে আপনি ঘাবড়ে যাবেন না। বিশেষজ্ঞের উপরই গোটা বিষয়টা ছেড়ে দিন। আর সাদা ছোট ছোট বড়ি তৈরি হয় ছাগলের দুধ থেকে।

নিজে নিজে ওষুধ নয়

এখনকার মানুষ সবই জানেন। তাই ব্যথা লাগলে আরনিকা, পেট খারাপে নাক্সভোমিকা খেয়ে নেন। এই অভ্যাস ঠিক নয়। একজন চিকিৎসকই বিষয়টি নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কারণ এই চিকিৎসাশাস্ত্রে রোগের লক্ষণ দেখে, রোগীর প্রকৃতি বুঝে ওষুধ ও তার শক্তি নির্বাচন করা যায়। এক্ষেত্রে নিজেরা কিনে খেলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তথ্য: এই সময়

 

আরিয়ানএস/

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ