প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৪:২০ পিএম
ক্যান্সার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতা প্রসার বেশি জরুরি। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস।
রোগটার নাম শুনলেই যেন গভীর উদ্বেগ এসে জমে মাথায়। খরচের কথা ভেবে চিন্তা, রোগীর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে আশঙ্কা সব একসঙ্গে হতে থাকে। রোগটার নাম ক্যান্সার ।
সারা বিশ্বে এই রোগের থাবা রয়েছে। উন্নত-আধুনিক দেশ থেকে পিছিয়ে পড়া কোনো দেশ, ক্যান্সার এবং তার জেরে মৃত্যুর খবর শোনা যায় সবজায়গাতেই। তথ্য বলছে বিশ্বে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যান্সার।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সচেতনতা এবং সুষ্ঠু জীবনযাত্রা এই দুই অস্ত্রেই একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মরণরোগ।
তাই ক্যান্সার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতা প্রসার বেশি জরুরি। ঠিক সেই কারণেই, প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ।
ক্যান্সার এবং তার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সবস্তরের লোকজন, রোগী-রোগীর পরিবার, চিকিৎসক, সাপোর্ট গ্রুপ, প্রশাসন- সবাইকে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই দিনটি পালিত হয়।
২০০০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালন শুরু হয়েছে। ফ্রান্সের প্যারিসে ওয়ার্ল্ড সামিট এগেইনস্ট ক্যান্সার-এর মঞ্চ থেকে এটা শুরু হয়।
ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল -এর পক্ষ থেকে এর আয়োজন হয়েছিল। ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা, ওই রোগ প্রতিরোধ করা, আগাম পদক্ষেপ সবকিছুই থাকে আলোচনায়।
সারা বিশ্বে ক্যান্সার মারণরোগ হিসেবে পরিচিত। কোনো কোনো সময় অনেকটা পরে ধরা পড়ে এই রোগ। যখন চিকিৎসার আর তেমন কোনো সুযোগ থাকে না।
এখানেই আসে সচেতনতার বিষয়টি। অর্থাৎ কী কী দেখে আগেভাগে সতর্ক হতে হবে, দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তা নিয়ে সচেতনতার প্রসারের জন্য়ই এমন দিনের প্রয়োজন।
বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্যান্সারের নানা উপসর্গের বিষয়ে সচেতন করেন। কী কী সমস্যা হলে দেরি না করে দ্রত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত তা নিয়েও নিয়ম করে সচেতন করা হয়ে থাকে। তবে একটি বিশেষ দিন থাকলে তাকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে একসঙ্গে সামগ্রিকভাবে সচেতনতা ও সতর্কতার প্রসার করা যায়।
২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪- এই তিন বছরের জন্য একই থিম রাখা হয়েছে। ক্যান্সার রোগীদের মানসিক ও শারীরিকভাবে দেখভালের সমস্যা দূর করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
এনএমএম/এএল