প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ১২:০০ এএম
মিষ্টি স্বাদের শুকনো ফল খেজুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। রক্তস্বল্পতার সমস্যায় অত্যন্ত উপাদেয় খাবার খেজুর।
মুখে লেগে থাকার মতো মিষ্টি স্বাদের এ ফল প্রায় সবাই পছন্দ করেন। তাই বাঙালি বাড়িতে খেজুরের বহুল ব্যবহার রয়েছে।
কেবল মিষ্টিই নয়, এ খাবারের রয়েছে বহু স্বাস্থ্য গুণও। বহু অসুখে দারুণ কার্যকরী এ ফল। তাই খেজুর প্রতিটি মানুষের খাওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘ফল সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই কম। কোন ফলের কী গুণ, শুধু এইটুকু জানতে পারলেই দেখবেন বহু অসুখ কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু আমরা অনেকেই সেই বিষয়ে অজ্ঞ।’
খেজুরের প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানান, খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। এছাড়াও কার্বন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন বি৬ এর মতো উপাদান এই ফলে প্রচুর পরিমাণে থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে অনেকটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত খেলে বহু রোগকে অনায়াসে দূরে রাখতে পারে খেজুর।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী:
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে খেজুর। খেজুর ব্রেনে প্রদাহ কমায়। স্মৃতিভ্রম বা অ্যালঝাইমার্স নামক রোগের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয় খেজুর। তাই আজীবন স্মৃতি টাটকা রাখতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ফ্রুকটোজ:
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ। এই ফ্রুকটোজ থাকে ফলে। এই উপাদান ফলকে মিষ্টি করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা জানান, চিনি খাওয়ার চেয়ে ফলের মিষ্টি খাওয়া কয়েকগুণ ভালো। খেজুর শরীরের সমস্যা কমায়। খেজুর আপনার স্বাস্থ্যই বদলে যাবে। তাই শরীর নিয়ে চিন্তা না করে আজই বাজার থেকে খেজুর কিনে এনে খাওয়া শুরু করে দিন।
হাড়ের সুরক্ষা:
এই ফলে ফসফরাস থেকে শুরু করে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। তাই খেজুর হাড়ের রোগকে অনায়াসে কমিয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অস্টিওআর্থ্রাইটিস থেকে অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখে দারুণ কার্যকরী এই ফল।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
বর্তমানে অনেক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ অসুখকে পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও রোগী চাইলেই এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এর জন্য খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবে পরিবর্তন। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, খেজুরে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার পাশাপাশি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকায় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে খেজুর খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার কথাও বলছে গবেষণাটি বুদ্ধিমানের কাজ।
সাজেদ/