প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৬:৩৫ পিএম
সম্প্রতি চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এর প্রকাশ পেয়ে করোনা আক্রান্ত বাড়ায় বাংলাদেশসহ বহু দেশ আতঙ্কিত। এই অবস্থায় একাধিক দেশ চীনা পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া ওই দেশেগুলিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। এই ঘটনায় চীনের প্রশাসন। তাদের বক্তব্য, একাধিক দেশ কোভিড বাড়লেও কেবলমাত্র চিনা পর্যটকদের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। শি জিনপিং সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এমনটা চলতে থাকলে পালটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স এবং জাপান কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া চীনা পর্যটকদের তাদের দেশে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না। এই বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “বেশকিছু দেশ বেছে বেছে চিনা পর্যটকদের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে। যা একেবারেই বিজ্ঞান ভিত্তিক নয়, এই কাজ গ্রহণযোগ্য না।” মাও হুঁশিয়ারি দেন, “এই নীতির পালটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ড থেকে আগত যাত্রীদের RT-PCR টেস্ট করানো আগেই বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এই দেশগুলি থেকে আগত কোনও যাত্রীর শরীরে যদি করোনার কোনওরকম লক্ষণ দেখা দেয়, বা কারও RT-PCR রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে তাঁকে সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এবার আরও কড়া পদক্ষেপের পথে।
প্রসঙ্গত, করোনায় বিপর্যস্ত চীনে আক্রান্ত হচ্ছে লাখে লাখে মানুষ। হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে রোগী। এর মধ্যেই নাগরিকদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে ‘জিরো-কোভিড-নীতি’ থেকে সরে এসেছে দেশটি। শি জিনপিংয়ের দেশে নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। যার ফলে ৮ জানুয়ারি থেকে নিভৃতবাস নিয়ে কড়াকড়ি শিথিল হচ্ছে। শিথিল হচ্ছে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের উপর চাপানো কোভিড নিয়মও।
এনএমএম/