আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য মার্কিন কোম্পানি মডার্নার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার (ভ্যাকসিন) অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। এ নিয়ে মোট পাঁচটি করোনা টিকা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিলো সংস্থাটি।
মডার্নার আগে ডব্লিউএইচওর অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলো হলো- ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা কোভিশিল্ড ও জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের করোনা টিকা।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধবিষয়ক সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) গত বছর ১৮ ডিসেম্বর জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য মডার্নার করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছিল। তারপর গত ৬ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শাখা সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) ইউরোপের দেশগুলোকে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
ডব্লিউএইচওর অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়েছে মডার্না। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে ৩০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে মডার্না। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কারখানাগুলোতে প্রস্তুত করা হবে টিকার এই ডোজগুলো।
ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের ‘কৌশলগত উপদেষ্টা প্যানেল’ এই টিকার যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করেছে। সেখানে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহে ৯৪ দশমিক ১০ ভাগ প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম মডার্নার করোনা টিকা।
ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য ও জীবাণুবিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যধিক সংক্রমিত দেশগুলো করোনার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউ পার করছে।
গত বছরের শেষে এবং চলতি বছরের শুরু থেকে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে অনেক দেশ। এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর মডার্নার টিকার অনুমোদন সেই গণটিকাদান কর্মসূচিতে নতুন গতি সঞ্চারে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সবুজ/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন