প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২, ০৯:২৪ পিএম
ঘুমে ভেঙ্গে পড়ছেন কিন্তু ঘুম আসছে না । ঘুমের মধ্যে অস্বস্তি হয়। মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। নিরুপায় উঠে বসে পড়েন, কেন জানেন?
সূর্য ডোবার পর থেকে পানি পান কমিয়ে আনা উচিত।
ক্যাফিনযুক্ত খাবার খাওয়া, যে কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্র থেকে দূরে থাকা এবং ধ্যান করা বা বই পড়ার মতো কাজ ঘুমের আগে করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে আবার রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পানের পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই পানি ঠাণ্ডা না গরম? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
শরীরে পানি ঘাটতি থাকলে ঘুমের মধ্যে কখনো গরম বা খুব ঠাণ্ডার অনুভূতি হয়। তাই শুতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে পানি পান করা উচিত। তবে তা কখনোই নির্ধারিত পরিমাণের বেশি নয়। সারা দিনে পানি পরিমাণ ভাগ করে নিলে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে বেশি পানি পানের প্রয়োজন পড়বে না। রাতে শুতে যাওয়ার আগে বেশি পানি বা যে কোনো পানীয় পান ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ বাড়াবে। তখন আবার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। প্রতি দিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর খারাপ হবে।
শুতে যাওয়ার আগে পানি পান জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মত, সূর্যের চলনের উপর যদি আমাদের শারীরবৃত্তীয় চক্রটি নির্ভর করে, তা হলে সূর্যাস্তের পর পরই পানি পান কমিয়ে দিতে হবে। তাতে সারাদিনে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং রাতের ঘুমও বিঘ্নিত হবে না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ঘুমোতে যাওয়ার এক-দেড় ঘণ্টা আগে হালকা গরম পানি পান করতে পারেন। ঘুমানোর সময় পানি ঘাটতি তো হবেই না, প্রাকৃতিকভাবে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে। এ ছাড়াও শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে এবং হজমের সমস্যা হলে তাও সেরে যাবে।
শুতে যাওয়ার আগে পানি পান জরুরি কেন?
এক. দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
দুই. ত্বকের জেল্লা বজায় রাখে
তিন. প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
চার. হার্টের রেট নিয়ন্ত্রণ করে
পাঁচ. ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কিউ/এএল