প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ০৯:১৭ পিএম
হরমোনের মাত্রা নারী ও পুরুষদের দেহে ভিন্নতা রয়েছে। শুধু শরীর নয়, স্ত্রী হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে মন এবং মানসিকতা ভালো থাকে না। সব সময় ছটফট করতে হয়। অনেকটা অস্থিরতা কাজ করে। সমস্যা যখন খুব বেড়ে যায় তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। তবে অল্প সমস্যা থাকলে, স্ত্রী হরমোনের নিয়মমাফিক খাওয়াদাওয়া কিংবা জীবনযাত্রার পরিবর্তন করলে উপকার পাওয়া যায়। কাজেই নিয়মের মধ্যে থাকলে হরমোন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ। এমনি কিছু বিষয় এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।
প্রতিদিন অল্প পরিমাণ স্নেহ পদার্থ থাকুক খাদ্যতালিকার শুরুতেই। সকালের খাবারের সঙ্গে নিয়মিত খেতে পারেন ঘি, নারকেল তেল কিংবা অর্গ্যানিক বাটার। বিশেষ করে যারা সকালে ফল খেতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে এই টোটকা কমাতে পারে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার সমস্যা।
দ্বিতীয়: ঋতুচক্রের প্রথমার্ধে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন ও দ্বিতীয়ার্ধে প্রজেস্টেরনের ক্ষরণ বাড়ে। ঋতুচক্রের প্রথম অর্ধে তিসি ও কুমড়োর বীজ এবং দ্বিতীয় অর্ধে খেতে পারেন সূর্যমুখী বীজ ও তিল। এতে দুই হরমোনই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তৃতীয়: পেট ভালো না থাকলে পুষ্টির সমস্যা হতে পারে। তখন যা-ই খান না কেন, শরীরের উন্নতি হওয়ার আশা কম। পেট ভালো না থাকলে তার প্রভাব পড়ে হরমোনের ভারসাম্যের উপরেও। কাজেই তেল-মশলার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
চতুর্থ: অনেকেই শরীর ভালো রাখতে বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট খান। বিশেষ করে হরমোনের সমস্যায় ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার চল এখন অনেকটাই বেড়েছে। এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেলে ইপিএ ও ডিএইচএ-এর মতো উপাদানগুলোর মাত্রা কতটা হওয়া উচিত, তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে।
পঞ্চমত: মনের অবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হরমোন। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক অবসাদ যৌন হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে দেয়। অনেক সময় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা। এতে শুধু স্ত্রী হরমোন নয়, দেখা দিতে পারে অন্যান্য হরমোনের সমস্যাও। তাই সেই ক্ষেত্রে সব দিকে নজর রাখা খুব জরুরি।
কিউ/এএল