প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ১১:৪৮ পিএম
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশের শরীরে ‘ওমিক্রন’ ধরন শনাক্ত হচ্ছে। বাকি ২০ শতাংশের শরীরে পাওয়া গেছে ‘ডেলটা’ ধরন।
বৃহস্পতিবার (১০
ফেব্রুয়ারি) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের
(আইইডিসিআর) অন্তর্বর্তীকালীন এক প্রতিবেদনে এসব
তথ্য জানা গেছে। চলতি
বছরের জানুয়ারি মাসের সংগ্রহ করা নমুনার জিনোম
সিকোয়েন্সিং করে এ প্রতিবেদন
তৈরি হয়েছে।
এতে
বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ছড়ানো
করোনার ৭টি ধরনের মধ্যে
পাঁচটিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে আইইডিসিআরসহ
মোট চারটি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। বাকি তিন প্রতিষ্ঠান
হলো আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স
অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি)
এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন
(সিএইচআরএফ)।
এই
প্রতিষ্ঠাগুলো থেকে ১৪৮টি নমুনা
পরীক্ষা করা হয়। এর
মধ্যে ১১৮টি বা ৮০ শতাংশ
অমিক্রন এবং ৩০টি বা
২০ শতাংশ ডেলটা ধরন পাওয়া গেছে।
ওমিক্রনের মধ্যে আবার ওমিক্রন বিএ১
৩৯ শতাংশ এবং বিএন২ ৪১
শতাংশ।
অপরদিকে
দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ‘৮২ শতাংশ’ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত আর বাকি ১৮
শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে
এমনটি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি
জানান, কোভিড-১৯ জিনোম সিকোয়েন্সিং
গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে
এসেছে। চলতি বছরের ১৯
জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত মোট ভর্তি রোগী
এবং বহির্বিভাগের রোগীর মধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ৮২ শতাংশ এবং
১৮ শতাংশ ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি। এ সময়ে ওমিক্রনের
সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.১, বিএ.১.১, বিএ.২ পরিলক্ষিত হয়েছে।
এছাড়া শিশুদের মধ্যেও কোভিড সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
পুরুষ
ও নারীদের আক্রান্তের হার প্রায় সমসংখ্যক
উল্লেখ করে ডা. শারফুদ্দিন
আহমেদ বলেন, ‘৪৯ শতাংশ পুরুষ
ও ৫১ শতাংশ নারী
আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে,
যেমন ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের
রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের রোগের প্রকটতা বেশি।’
নূর