প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২, ১১:৪৮ এএম
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আরও বেশি ভয়ংকর ও শক্তিশালী বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
(ডাব্লিউএইচও)।
এদিকে ওমিক্রনের উপসর্গগুলো তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয় হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি
রোগীর সংখ্যা শতাংশ হারে বেশ কম।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগের ধরনগুলো
যতটা প্রাণঘাতী ছিল ওমিক্রন সে রকম নয়। কিন্তু তাতে নিশ্চিত হয়ে বসে থাকলে তা বিপদ
ছাড়া আর কিছুই ডাকবে না।
চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনের কোনো একটিও উপসর্গ দেখা দিলে একেবারে
হালকা ভাবে নেয়া উচিত হবে না।
ওমিক্রনের সাধারণ উপসর্গগুলো
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন
অ্যানালাইসিস’-এর তথ্য অনুসারে,
কাশি, অত্যধিক ক্লান্তি, নাক বন্ধ এবং নাক দিয়ে পানি পড়া ওমিক্রনের
সাধারণ উপসর্গ। এছাড়াও হালকা জ্বর,
ঘামাচি, শরীরে ব্যথা, অতিরিক্ত ঘামও ওমিক্রনের উপসর্গ।
লন্ডনের কিংস কলেজের জেনেটিক এপিডেমিওলজির অধ্যাপক টিম স্পেক্টর একটি সমীক্ষার
মাধ্যমে জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, খিদে হ্রাস পাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছ।
এরই মধ্যে ওমিক্রনের আরো তিনটি উপসর্গের কথা জানিয়েছেন অধ্যাপক টিম স্পেক্টর।
তিনি জানান, ওমিক্রনের নতুন উপসর্গ তিনটি হলো - মাথা ব্যথা, গলা চুলকানো বা
গলা জ্বালা ভাব, ঘন ঘন নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
এসব উপসর্গকে শীতকালীন ঠাণ্ডাজনিত কারণ ভেবে হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।