প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১, ০৯:৪০ পিএম
শরীরে আয়রন থাকাটাপ বেশ
জরুরি। এর ঘাটতিতে শরীরে
লোহিত রক্তকণিকা কমে যায়। বিশেষ
করে নারীদের শরীরে এ খনিজের ঘাটতি
বেশি দেখা যায়। যার
পরিণতিতে নেমে আসে একরাশ
অসাড়তা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট
ও মাথা ঘোরানোসহ আরও
কিছু জটিলতা। তাই নিয়ম করে
কিছু খাবার খেলেই প্রাকৃতিকভাবে শরীরে তৈরি হবে যথেষ্ট
পরিমাণে আয়রন।
আমলকী
: ভিটামিন সি-এর জন্য
নামকরা ফলটি কিন্তু আয়রন
ও ক্যালসিয়ামেও ভরপুর। এমনকি আমলকীতে এত বেশি আয়রন
থাকে যে, রক্তশূন্যতার রোগীদের
জন্যও এটি বেশ ভালো
কাজ করে। সরাসরি খেতে
ইচ্ছে না করলে আচার
কিংবা মোরব্বা বানিয়েও খেতে পারেন।
কিশমিশ
: অনেক ড্রাই ফ্রুটেই আয়রন আছে। তবে
কিশমিশে সেটা একটু বেশিই
পাবেন। উপরি পাওনা হিসেবে
থাকছে কপার ও এমন
কিছু ভিটামিন, যেগুলো রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। সারা রাত
ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ সকালে
খেলে রক্ত চলাচলও থাকবে
ভালো।
পালংশাক
: সপ্তাহে দুই দিন পাতে
রাখুন পালংশাক। প্রচুর আয়রন তো আছেই,
মাংসপেশির গঠনেও কাজ করে এটি।
ফেলন
ডাল : ইংরেজিতে বলে ব্ল্যাক আইড
পিজ। বরবটি গোত্রের বীজ জাতীয় শস্য
এটি। মসুরডালের পাশাপাশি নিয়মিত ফেলন ডাল খেলে
আয়রন পাবেন প্রচুর। এটি একবেলা খেলেই
দিনের ২৬ শতাংশ আয়রনের
চাহিদা মিটবে।
যকৃত,
কিডনি, মগজ : এগুলোকে বলে অর্গান মিট।
বিশেষ করে গরুর কলিজা
এদের মধ্যে আয়রনে ভরপুর। মাঝে শধ্যে এটি
মেন্যুতে রাখুন। একবেলা ভরপেট কলিজা ভুনা মেটাতে পারে
দিনের ৩৬ ভাগ আয়রনের
চাহিদা।
গুড়
: খাঁটি গুড় শুধু যে
চিনির বিকল্প তা নয়, এটি
আয়রনের চাহিদাও মেটায়। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের
জন্য এটা খেতে হবে
পরিমাণমতো। বাকিরা চাইলে এক গুড় দিয়েই
মেটাতে পারেন সারা দিনের আয়রনের
চাহিদা।
তারিক/এম. জামান