প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১, ০৪:০৪ পিএম
মধু শুধু খেতেই
মিষ্টি নয়, এর গুণগুলোও
অনেক মিষ্টি। শীত এলে প্রতিদিন
মধু কেন খেতে বলা
হয়? কারণ মধু নানাভাবে
আমাদের শরীর ভালো রাখতে
কাজ করে। এটি সর্দি-কাশি কেবল সারিয়েই
তোলে না, সর্দি-কাশি
দূরে রাখতেও সাহায্য করে। মধু প্রাকৃতিক
অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। তাই
শীতে মধু খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা
তুলনামূলক বেশি। জেনে নিন শীত
এলে কেন প্রতিদিন মধু
খাওয়া জরুরি-
কাশি
ভালো করে : শীত এলেই ঠাণ্ডা
লাগার কারণে গলা খুসখুস বা
কাশির সমস্যা দেখা দেয় অনেকের
ক্ষেত্রে। এ রকম হলে
আপনি কী করবেন? অবশ্যই
প্রতিদিন মধু খাবেন। হালকা
গরম পানিতে সামান্য লেবুর রস ও এক
চা চামচ মধু মিশিয়ে
খেয়ে নেবেন। গরম টক পানীয়
আপনার গলার কাছে জমে
থাকা কফ বের করে
দিতে সাহায্য করবে। মধু খেলে গলার
ভেতরে খুসখুসে ভাব কমে যায়।
নিয়মিত খেলে কাশিও কমে
যাবে। শীতের সময়ে তাই মধু
একটু বেশিই দরকারি।
রক্তচাপ
ঠিক রাখে : সুস্থ থাকার জন্য রক্তচাপ ঠিক
রাখা জরুরি। উচ্চ কিংবা নিম্ন
রক্তচাপ কোনোটাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
শীতের সময়ে অনেকের রক্তচাপ
বেড়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। এই
সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রতিদিন
মধু খেতে পারেন। মধুতে
থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস। রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস।
পাশাপাশি কমায় হৃদরোগের ভয়ও।
সর্দি-কাশি থেকে দূরে
রাখে : মধু প্রায় সব
বাড়িতেই থাকে। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকে চিনির বদলে মধু খেয়ে
থাকেন। বাড়তি মেদ ঝরানোর কাজেও
সাহায্য করে মধু। কিন্তু
এর সবচেয়ে বড় গুণ হলো
এটি সর্দি-কাশি নিরাময়ে ভীষণ
কার্যকরী। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত তুলসী পাতার রস ও মধু
খেলে ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা দূর হবে। সেই
সঙ্গে সেরে যাবে পুরনো
কাশিও।
রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে : বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়েও শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে বেশি নজর
দিতে হবে। কারণ এ
সময় নানা অসুখ-বিসুখের
ভয় বেড়ে যায়। নিয়মিত
মধু খেলে তা রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। মধুতে
আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস। এটি আমাদের শরীরের
ইমিউন সিস্টেম ঠিক রাখে। বাঁচায়
বিভিন্ন অসুখ থেকে। এটি
স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতেও কাজ
করে। এর শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয়। ফলে ভয়
কমে আলঝেইমার্সের মতো রোগেরও। তাই
শীতের সময়ে তো অবশ্যই,
বছরের অন্যান্য সময়েও মধু খাওয়ার অভ্যাস
করুন।
তারিক/এম. জামান