• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কোভিড ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়নি? জেনে নিন কী ঝুঁকি রয়েছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১, ১২:১৯ এএম

কোভিড ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়নি? জেনে নিন কী ঝুঁকি রয়েছে

সিটি নিউজ ডেস্ক

আপনি যদি মনে করেন একবার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে, তাহলে সেটি আপনার ভুল ধারণা। কোভিড ভ্যাক্সিন না নিলে এবং মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করলে একবার কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি চার মাসের মধ্যে পুনরায় সংক্রামিত হতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রাথমিক সংক্রমণের চার মাসের মধ্যে ফের সংক্রমণের ঝুঁকি প্রায় শতাংশে বেড়ে যায়। ১৭ মাসের মধ্যে ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এসময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্ধেকে নেমে আসে। আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি করোনাভাইরাসগুলোর জেনেটিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে স্বল্পস্থায়ী। তাই আপনি সংক্রমিত হলেও আপনার টিকা নেওয়া উচিত। কানেকটিকাটের নিউ হ্যাভেনের ইয়েল স্কুল অফ পাবলিক হেলথের বায়োইনফরম্যাটিশিয়ান জেফরি টাউনসেন্ড এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতক্ষণ স্থায়ী হয় তা সঠিকভাবে জানার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন, তবে ভ্যাক্সিন না দিয়ে বসে থাকার প্রয়োজন নেই।

কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থায়িত্ব অনুমান করার জন্য, বিশেষজ্ঞরা বুঝতে চেষ্টা করেছেন কীভাবে পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে অ্যান্টিবডির মাত্রা ফের সংক্রমণের ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে।

বিশেষজ্ঞরা মডেল করেছে দেখিয়েছে- কীভাবে ভাইরাস বৈশিষ্ট্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো কোভিড সংক্রমণের পরে অ্যান্টিবডি স্তরের হ্রাস এবং পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় অন্য কারণগুলোর একটি ধারণা দেয়।

বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারি রোগ থেকে স্থানীয় রোগে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এখনও কোভিড সম্পর্কে অনেক তথ্যই অজানা বা ভালোভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে একটি হলো, কেউ পুনরায় সংক্রমিত হলে রোগের সম্ভাব্য তীব্রতা কতটা হতে পারে সেই ধারণা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি পুনরায় সংক্রমিত হলে তার সংবেদনশীলতা এবং রোগের স্বভাব উভয় ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন আসতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকতে পারে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

তারিক/ডাকুয়া

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ