প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০৩:৩১ পিএম
আমাদের প্রায় সব ধরনের রান্নার
কাজে লাগে হলুদ। খাবারের
রঙ, স্বাদ, গন্ধ বাড়াতে যোগ
করা হয় এই মসলা।
এটি আমাদের প্রতিদিনের রান্নার অবিচ্ছেদ্য অংশও বলা যায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রান্নায়
হলুদ ব্যবহারের ফলে যে রঙ
যোগ হয়, সেটি খাবারের
প্রতি আমাদের আকর্ষণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে
তোলে।
শুধু
কি রঙ, স্বাদ আর
গন্ধই যোগ করে? এর
বাইরেও হলুদের রয়েছে আরও অনেক কার্যকারিতা।
এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেকভাবে উপকার
বয়ে আনে। বিভিন্ন ধরনের
ভেষজ ওষুধ তৈরিতে হলুদের
ব্যবহার বেশ পুরোনো।
প্রতিদিনের
রান্নায় হলুদ ব্যবহারের পাশাপাশি
হলুদ খাওয়ার আরেকটি সহজ উপায় হলো-
হলুদ মেশানো পানি পান করা।
হলুদ মেশানো পানি আমাদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, টক্সিন বের করতে সাহায্য
করে, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠাণ্ডা
এবং ফ্লু দূরে রাখে।
হলুদ মেশানো পানির আরও উপকারিতা এবং
এটি তৈরি করার সঠিক
উপায় জেনে নিন।
বাতের
ব্যথা দূর করে : জয়েন্টে
ব্যথা আজকাল নারীদের একটি সাধারণ সমস্যা।
হলুদের আছে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য,
যা বাতের ব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন
এক গ্লাস হলুদ মিশ্রিত পানি
জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সাহায্য
করতে পারে। শুধু নারীদের ক্ষেত্রেই
নয়, এটি পুরুষের জন্যও
বিশেষ উপকারী।
রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : হলুদে থাকা কারকিউমিন রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য
করে, যা বিভিন্ন ধরনের
রোগ থেকে আপনাকে দূরে
রাখে। হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এই মসলাকে সামগ্রিক
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী করে
তোলে। এটি ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং অসুখ-বিসুখ দূরে রাখে।
ওজন
কমাতে কার্যকরী : ওজন কমানোর জন্য
প্রয়োজনীয় মৌলিক বিষয়ের একটি হলো পরিপাকতন্ত্রকে
সুস্থ রাখা। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় হলুদমিশ্রিত পানি রাখলে তা
হজমের উন্নতি করতে পারে। আপনি
যখন হলুদ পানির সঙ্গে
মিশিয়ে পান করবেন, তখন
এটি আপনার বিপাককে আরও বাড়িয়ে দেবে
এবং আপনার অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করবে।
ত্বকের
জন্য ভালো : হলুদে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,
যা আপনার ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকরী।
হলুদমিশ্রিত পানি পান করলে
তা ফ্রি র্যাডিক্যালের
ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতির
কারণে আপনাকে বয়সের তুলনায় বেশি বয়স্ক দেখাতে
পারে। নিয়মিত হলুদমিশ্রিত পানি পান করলে
তা আপনার ত্বককে তরুণ ও উজ্জ্বল
রাখে।
ডিটক্সিফিকেশন
: ডিটক্সিফিকেশন মানে শরীর থেকে
সমস্ত বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থ
অপসারণ করা। আমরা প্রতিদিন
আমাদের খাদ্য, পরিবেশ এবং বায়ুর মাধ্যমে
বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসি। এসব আমাদের
অসুস্থ করে তুলতে পারে।
আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে
এই বর্জ্য অপসারণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এক গ্লাস হলুদমিশ্রিত
পানি পান করলে তা
শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
হলুদ-পানি বানানোর সঠিক
উপায় : একটি ছোট হাঁড়ি
নিন। এবার সেখানে এক
কাপ পানি দিয়ে ফুটতে
দিন। ফুটে উঠলে তাতে
২ চিমটি হলুদ যোগ করুন,
ভালোভাবে মিশিয়ে আরও মিনিট দুয়েক
ফুটতে দিন। এরপর চুলা
বন্ধ করে দিন। পানিটুকু
ছেঁকে নিয়ে গরম থাকতে
থাকতেই পান করুন। এর
স্বাদ বাড়াতে চাইলে সামান্য মধুও যোগ করতে
পারেন।
তারিক/এম. জামান