প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১, ০৩:৩৫ পিএম
আমাদের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন অনেক ধরনের খাবার
থাকে। সেসব খাবার আমরা
উপকারী জেনেই খাই। কিন্তু সব
খাবারের সব অংশ আমাদের
জন্য উপকারী না-ও হতে
পারে। এমন কিছু ফল
ও সবজি রয়েছে যার
কিছু কিছু অংশ বিষাক্ত
উপাদানে ভরা। যেগুলো আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির
কারণ হতে পারে। আমরা
হয়তো না জেনেই সেসব
খেয়ে ফেলছি। জেনে নিন কোন
খাবারের কোন অংশ ক্ষতির
কারণ হতে পারে-
আপেল
: আপেল আমাদের সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন খাওয়ার
পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু
আপেল খেতে খেতে এর
বীজ খেয়ে ফেলবেন না
যেন। কারণ আপেলের বীজে
আছে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামক বিষ। বড়রা
সতর্ক থাকার পাশাপাশি ছোটদের আপেল খেতে দেওয়ার
সময় আপেল কেটে বীজ
ফেলে দেবেন। নয়তো অসতর্কতায় আপেলের
বীজ পেটে গেলে তা
হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির
কারণে। একইভাবে জুস তৈরির সময়ও
বীজ ফেলে দেবেন।
চেরি
: জনপ্রিয় ফল হিসেবে শুরুর
দিকেই আছে চেরির নাম।
এটি কাঁচা এবং রান্না করে-
দুইভাবেই খাওয়া যায়। কিন্তু চেরির
বীজ ও পাতায় আছে
বিষাক্ত উপাদান। চেরির বীজকে চূর্ণ করলে প্রুসিক এসিড
(হাইড্রোজেন সায়ানাইড) উত্পন্ন হয়।
তাই চেরি খেলেও এর
বীজ ফেলে দেবেন।
কাজুবাদাম
: কাজুবাদাম মিষ্টি এবং তেতো দুই
স্বাদের হয়। তেতো কাজুবাদামে
তুলনামূলক বেশি হাইড্রোজেন সায়ানাইড
থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সাত-দশটি তেতো
কাজুবাদাম খেলে সমস্যা দেখা
দিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে
প্রাণনাশের আশঙ্কাও। যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে তেতো
কাজুবাদাম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জায়ফল
: রান্না সুস্বাদু ও সুঘ্রাণযুক্ত করতে
জায়ফল ব্যবহার করা হয়। তবে
তা খুব সামান্যই। যে
পরিমাণ জায়ফল রান্নায় ব্যবহার করা হয় তা
ক্ষতিকর নয়। কিন্তু এটি
বেশি খেলে তা মাথাঘোরা,
বমি কিংবা বমি বমি ভাব,
ঘাম হওয়া বা হ্যালুসিনেশনের
মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আলু
: পুরো পৃথিবীতেই জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় আছে আলুর তৈরি
নানা পদ। আলু খাওয়া
বেশ উপকারীও। কিন্তু এর পাতা ও
কাণ্ডে থাকে গ্লাইকো-অ্যালকালয়েড।
অনেক সময় বাড়িতে বেশিদিন
আলু রেখে দিলে তাতে
অঙ্কুর গজিয়ে যায়। এই অঙ্কুরে
গ্লাইকো-অ্যালকালয়েড থাকে, যা আলোর সংস্পর্শে
বাড়তে থাকে। তাই আলু সব
সময় ঠাণ্ডা ও অন্ধকার স্থানে
রাখতে হয়। সবুজাভ বা
অঙ্কুরযুক্ত আলু খেলে তা
ডায়রিয়া, মাথাব্যথাসহ নানা সমস্যার কারণ
হতে পারে।
টমেটো
: নানা খাবারকে সুস্বাদু করতে টমেটোর জুড়ি
নেই। এটি উপকারী একটি
সবজি। কিন্তু আলুর মতোই টমেটোর
পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকো-অ্যালকালয়েড থাকে। এই উপাদান হজমে
সমস্যা সৃষ্টি করে। কাঁচা সবুজ
টমেটোতেও থাকে একই উপাদান।
তবে কাঁচা টমেটো অল্প খেলে সমস্যা
হওয়ার ভয় নেই।
তারিক/এম. জামান