• ঢাকা শনিবার
    ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

‘সরকারিভাবে ৯০০ টন অক্সিজেন মজুদ আছে’

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২১, ০৫:৫৩ পিএম

‘সরকারিভাবে ৯০০ টন অক্সিজেন মজুদ আছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে বর্তমানে সাধারণ কোভিড রোগী মিলে ৭০-৮০ টন মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন প্রয়োজন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সর্বোচ্চ অক্সিজেন চাহিদা ছিল ২১০ টন পর্যন্ত। মুহূর্তে দেশে দৈনিক অক্সিজেন উৎপাদনে সক্ষমতা রয়েছে ২২০ থেকে ২৩০ টন।

বৃহস্পতিবার ( মে) দুপুরে জুম অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিতকোভিড-এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায়সরকারি-বেসরকারি প্রস্তুতি জরুরি অক্সিজেন ব্যবস্থাপনাবিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ভারতে অক্সিজেন সংকটের কারণে বর্তমানে ভয়াবহ অবস্থা চলছে। একই রকম অবস্থা যাতে আমাদের না হয়, সেজন্য সরকারিভাবে প্রায় ৯০০ টন অক্সিজেন মজুদ রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে দেশের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে আরো ৪৫০ টন অক্সিজেন মজুদ রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মাসে একটি বেসরকারি সংস্থা ৪০ টন অক্সিজেন সরবরাহ করবে। জুলাই মাসে অন্য একটি বেসরকারি সংস্থা আরো ৪০ টন অক্সিজেন সরবরাহ করবে। এর ফলে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মাত্রা থাকলেও তা মোকাবিলা করতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বাড়লে সেক্ষেত্রে বড় সমস্যা হতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বড় বিপর্যয় যাতে না হতে পারে সেজন্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে জরুরি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও ১৮টি জরুরি নির্দেশনাসহ বেশ কিছু ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের মানুষ সরকারের জরুরি নির্দেশনাগুলো মেনে চললে এবং আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে মানুষ বেপরোয়া চলাফেরা, কেনাকাটা, ভ্রমণ না করলে আশা করা যায় করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে এলেও তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় রোগীর খারাপ অবস্থা হলে তখন অক্সিজেন মূল ভূমিকা পালন করে। কারণে দেশের সরকারি ১৩০টি হাসপাতালে এখন সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই হাসপাতালগুলোর প্রায় ১৬ হাজার শয্যায় অক্সিজেন বেড কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলো দেশে কোভিড চিকিৎসায় বিরাট অবদান রাখছে।

ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, “ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের চুক্তি ছিল। কিন্তু দেশটির ভয়াবহ অবস্থার কারণে চুক্তি অনুযায়ী সব ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ভ্যাকসিন নিতে রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের কথা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই চুক্তি হবে। চীন ১২ মে মধ্যে লাখ ভ্যাকসিন দিচ্ছে। একই সঙ্গে অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন ভারত ছাড়া বিশ্বের অন্য যে দেশগুলো উৎপাদন করছে, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ হচ্ছে। সব মিলিয়ে আশা করা যায়, খুব দ্রুতই ভ্যাকসিন সংকট কেটে যাবে।

একই অনুষ্ঠানে ত্রাণ দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বেশি মানুষকে টিকা দিতে হবে। সরকার যাতে দ্রুতই ভ্যাকসিন আমদানি করতে সক্ষম হয় সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সক্রিয় রয়েছে।

লাইজুল/সিআর/জেএনই/ এম. জামান

আর্কাইভ