• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
৫২‍‍`র সাক্ষী নীলফামারীর অগ্নি কন্ঠ

ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় সৈনিক ওয়ালিউর রহমান

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩, ১০:১৮ পিএম

ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় সৈনিক ওয়ালিউর রহমান

ছবিঃ সিটি নিউজ ঢাকা

সুজা মৃধা

শিমূল-কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুলে ছেয়ে গেছে পথঘাট। সড়ক-পথ আন্দোলিত যুবাদের পদচারণায়। আন্দোলনের শানিত উচ্চারণে ভাঙ্গছে মফস্বল শহরের সুনসান নিরবতা।

১৯৫২ তৎকালীন মহকুমা শহর নীলফামারীর দৃশ্যপট ছিলো এমনি। ভাষার দাবীতে সরব প্রতিটি মানুষ। সবখানে এ নিয়ে চলছে আলোচনা। পথে ঘাটে পাকিস্তানি শাসকের রক্তিম চোখকে ফাঁকি দিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। ভাষার জন্য আন্দোলন।

‍‍`তোমার ভাষা আমার ভাষা, বাংলাভাষা বাংলাভাষা‍‍`।

এ আন্দোলনে অনেকের মতই জোড়ালো ভূমিকা রেখেছিলেন সে সময়ের ২১বছরের টগবগে যুবক ওয়ালিউর রহমান।

ওয়ালিউর রহমানকে নীলফামারীর সবাই ‍‍`ওস্তাদ ওয়ালিউর রহমান‍‍` নামেই চিনতেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ সঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন।

ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্ম নেয়া ওয়ালিউর রহমানের পিতার নাম ছিলো আব্দুল গফুর মুন্সী এবং মায়ের নাম ছিলো ঝড়িমন বেগম।

১৯৫২ সালে ওয়ালিউর রহমান ছিলেন ২১ বছরের টগবগে যুবক। সে সময় গান ও নাটক পাগল ছিলেন তিনি। এ বয়সে তিনি বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। হাতের লেখা সুন্দর ছিলো বলে ‍‍`হাতে লেখা পোস্টার‍‍` বানানোর দায়িত্বটা তিনিই বেশীরভাগ সময় পালন করতেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করতে বিভিন্ন জায়গায় অনেকের মত তিনি সঙ্গীত পরিবেশন করতেন।

পরিণত বয়সে ওয়ালিউর রহমান ঘর বাঁধেন। তাঁর স্ত্রীর নাম সমেলা রহমান। তিনিও একজন ভাষা সৈনিক ছিলেন।

সাত সন্তান রেখে গেছেন ওয়ালিউর রহমান ও সমেলা রহমান দম্পতি। এরমধ্যে সুমি রহমান মঞ্চ, টেলিভিশন ও সিনেমায় অভিনয় করেন। সুমন রহমান একজন শ্রমিক নেতা।

ভাষা সৈনিক ওয়ালিউর রহমান ২০০৬ সালের ৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ